ঢাকাঃ বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মতো কানাডাও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে কি না- এই কনসার্নটা তাদের আছে। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সংসদ-সরকার নির্বাচিত করতে পারবে কি না এবং মানবাধিকার বিষয়সহ শ্রম আইন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তাদের একটা বড় কনসার্ন আছে। এসব বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।
খসরু বলেন, ‘তারা জানতে চায় আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কি প্রয়োজন এবং বর্তমান পরিবেশ কি সেটা তারা জানে, এরপরও তারা আমাদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে। আমরা স্বাভাবিকভাবেই বলেছি- বাংলাদেশের বর্তমান যে পরিবেশ, যেখানে গণতান্ত্রিক অর্ডার নেই, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই। বাকস্বাধীনতা নাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশে বর্তমানে এই রেজিমির অধীনে কোনো নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কানাডা দেশ হিসেবে মধ্যম ক্ষমতার একটি দেশ। তাদের একটা মডেল, নীতি-নৈতিকতার দিক থেকে তারা কিন্তু বিশ্বখ্যাত। মানবাধিকার, আইনের শাসন, ভোটাধিকার- এগুলো নিয়ে কানাডার যথেষ্ট আগ্রহ আছে। তাদের মডেল গ্রাউন্ডটা অনেক উঁচুতে। বাংলাদেশের নির্বাচন, মানবাধিকার, আইনের শাসন- স্বাভাবিকভাবে তাদের একটা কনসার্ন আছে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো কানাডারও একটা বড় কনসার্ন রয়েছে।
মার্কিন নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে করেছে এবং আরও অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশগুলো যেভাবে বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষণ করছে। কানাডাও বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এর আগে দুপুর ১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে কানাডার দূতাবাসের প্রধান রাজনৈতিক কর্মকর্তা ব্রাডল কোটালি, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বুইউ