সিটি নির্বাচনে কোনো কারচুপি হলে সরকার পতনের আন্দোলনের শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
ইভিএম ব্যবস্থা মানি না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তারপরও যদি সুষ্ঠু ও সঠিক ফলাফল আসে তাহলে আমরা নির্বাচন মেনে নেব। কিন্তু যদি কোনো কারচুপির আশ্রয় নেন তাহলে এই মেয়র নির্বাচন থেকে আপনাদের পতনের আন্দোলন শুরু হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের একাদশতম দিনের প্রচার শুরুর মুহূর্তে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা যখন মেয়র ছিলাম তখন ঢাকার শহর এত নোংরা ছিল না। ঢাকা শহর এত যানজটের শহর ছিল না। আজকের এই ১৩ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে ঢাকা শহরকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিগত ১৩ বছরে ঢাকা শহর যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তা থেকে উদ্ধার করার জন্য বিএনপি থেকে আমরা সাদেক হোসেন খোকার একজন যোগ্য উত্তরসূরি ইশরাক হোসেনকে মনোনয়ন দিয়েছি। ইশরাক যেকোন প্রার্থী থেকে একজন যোগ্য প্রার্থী। ইনশাল্লাহ ইশরাক হোসেন ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য সুন্দর নগরী উপহার দেবেন। তিনি বলেন, ব্যারিস্টার হাসনাত বিএনপির মেয়র ছিলেন, আমি মির্জা আব্বাস বিএনপির মেয়র ছিলাম, সাদেক হোসেন খোকা বিএনপি মেয়র ছিলেন। সে সময় পরিচ্ছন্ন নগরী ছিল, সবুজ নগরী ছিল, ঢাকার শহর ধ্বংস হয় নাই। ইশরাককে আপনারা সহযোগিতা করবেন, ইশরাককে আপনারা একটি ভোট দেবেন। আমার অভিজ্ঞতা ও সাদেক হোসেন খোকার অভিজ্ঞতা মিলিয়ে ইশরাক হোসেনকে সৎ পথে পরিচালনা করব।
তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম বিএনপির টার্গেট এ নির্বাচনকে বিতর্কিত করার, কাদের (ওবায়দুল কাদের) সাহেবের এমন বক্তব্যে পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলতে চাই, বিএনপির টার্গেট নির্বাচনে জয়ী হওয়া, নির্বাচনকে বিতর্কিত করা নয়। কারণ আপনারা জবরদস্তি করে বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন। বিএনপি কখনই বিতর্কের মধ্যে ছিল না, নাই, থাকবেও না। আমরা চাই সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ।
আরআর/এনএনআর