ঢাকাঃ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ করবে সংগঠনটি। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে সমাবেশ ঘিরে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নেতাকর্মীদের পদচারণায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, যুবলীগের মহাসমাবেশে ১০ লাখেরও বেশি লোকের সমাগম হবে। অনুষ্ঠান সফল করতে গত এক সপ্তাহ ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লেকের পূর্বপ্রান্তে মঞ্চ নির্মাণসহ সার্বিক প্রস্তুতি চলছিল।
যুবলীগের দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, মূলত যুব সমাবেশ হলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। দেশের ৬৪ জেলা থেকে মহাসমাবেশে অন্তত ১০ লাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুবলীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল প্যান্ডেল নির্মাণের পাশাপাশি রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কের পাশে জাতীয় পতাকা ও যুবলীগের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
সমাবেশ ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং সার্বিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও সুশৃঙ্খল রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্যানে প্রবেশের সব গেটে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। এরমধ্যে শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের পাশের গেট দিয়ে নিরাপত্তাকর্মী ও সমাবেশ বাস্তবায়নে দায়িত্বরত টিম প্রবেশ করছে। উদ্যানের বিভিন্ন গেট ও ভেতরে টহল দিচ্ছেন গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
সর্বসাধারণের প্রবেশ দুদিন আগ থেকেই বন্ধ করা হয়েছে। যুব সমাবেশ সফল করতে মোট ১০টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ২২ অক্টোবর সমাবেশ সফল করতে যুবলীগের এক বর্ধিত সভায় সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় যেতে চায়। ওদের এই নৈরাজ্যের জবাব সংগঠন হিসেবে যে যুবলীগ একাই দিতে পারে তা ১১ নভেম্বর এই যুব মহাসমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করবো। আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা, আপনারা এই মহাসমাবেশ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সর্বসাধ্য দিয়ে ১১ নভেম্বর সফল করবেন। অর্থাৎ যুবলীগকে সফল করার দায়িত্ব এখন আপনাদের কাঁধে। আমি জানি আপনারা পারবেন। যুবলীগ অসাধ্য সাধন করা এক সংগঠন।
বুইউ