এরা তো পাকিস্তানিদের চেয়েও খারাপ: মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্ক আগস্ট ১৯, ২০২১, ০৩:৩৯ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: বরিশালে ইউএনওর বাসায় হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শুধু বরিশাল নয়, সারা দেশেই সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। এই দেশটা এখন একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন—অধ্যাপক আসিফ নজরুলের কক্ষে কীভাবে তালা লাগানো হয়েছে। এটা কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ? এরা তো পাকিস্তানিদের চেয়েও খারাপ।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম—দেশ গণতান্ত্রিকভাবে চলবে, মানুষ তার কথা বলতে পারবে, সাংবাদিকরা নির্ভয়ে লিখতে পারবে। সেই বাংলাদেশ এখন একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের যাঁতাকলে পড়ে কর্তৃত্ববাদী একটা পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না, ভয়ে কেউ কিছু লিখতে পারে না। এমনকি মাজার জিয়ারতের মতো একটা সাধারণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানও করতে পারে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত পরশু (মঙ্গলবার) আপনারা দেখেছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন কমিটির নেতারা আমিসহ এখানে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম। সেখানে কী নির্মমভাবে প্রহার করে লাঠিচার্জ করেছে, ১৮৭ রাউন্ড গুলি করেছে। আমান উল্লাহ আমান, আমিনুল হকসহ নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় প্রমাণ করে এই সরকার এত বেশি ভীতসন্ত্রস্ত তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। সেজন্য একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান কবর জিয়ারতেও বাধা দেয়। তারা বলেছে, করোনা আমলে আমরা জনসমাবেশ করছি। করোনা আমলে সারাদেশ খুলে দিয়েছেন। পরিবহন চলছে, হাটবাজার-দোকানপাট সবকিছু চলছে। শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি করতে দিচ্ছেন না। উদ্দেশ্য একটাই তারা বাংলাদেশে একদলীয় একটা শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান।

করোনার জন্য ত্রাণ সহায়তা ওষুধ বিতরণেও বাধা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নরসিংদী-যশোরে হামলা করা হয়েছে। যাতে বিরোধী দল জনগণের কাছে যেতে না পারে। জনগণের কথা বলতে না পারে। যাতে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য তারা এই কাজগুলো করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, আজকেও (বৃহস্পতিবার) এখানে আসার আগে ২৫ জনের মতো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা অবিলম্বে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ নেতাকর্মীরা।