তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা, সংগঠনের তহবিল এবং ধর্মীয় কাজে আসা বৈদেশিক সহায়তা লোপাটের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এছাড়াও খোঁজা হচ্ছে যোগানদাতাদের। পর্যায়ক্রমে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে দুদকে।
২০১৩ সালের ৫ই মে রাজধানীর শাপলা চত্ত্বরে অবস্থান কর্মসূচি ডেকে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম।
ওই কর্মসূচিকে সফল করতে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বিভিন্ন ব্যক্তিসহ নানা উৎস থেকে অর্থ নেন তখনকার মহাসচিব জুনায়েদ বাবু নগরী। ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত হেফাজতের প্রধান হিসাব নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করা সলিমউল্লাহর বক্তব্যেও উঠে আসে অর্থ আত্মসাতের তথ্য।
সবশেষ দুদকের কাছে বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য আসে হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সংগঠনের তহবিল, বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং ধর্মীয় কাজে আসা বৈদেশিক সহায়তা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া একাধিক ইসলামী সংগঠনের নেতার বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব তথ্য প্রাথমিকভাবে যাচাই করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার জহুরুল হক বলেন, হেফাজতের বিষয়ে আমরা ছয় সদস্যের একটা কমিটি করে দিয়েছি। তারা আলোচনা করে দেখছে। আইনে ১২০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা বলে আছে, এই আইনে যা আছে সেভাবে তদন্ত কাজ শেষ করা হবে।
যাদের বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান করছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, হেফাজত নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী, মামুনুল হক, তার বড় ভাই মুহাম্মদ মাহফুজুল হক। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদসহ ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের অর্ধশত নেতা। অর্থের যোগানদাতা কারা তাও খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি।