ভাঙ্গা থানায় হামলা: হেফাজত নেতা আবুল হুসাইন রিমান্ডে
সুমন ইসলাম, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
এপ্রিল ২৪, ২০২১, ০৫:১৫ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত
ফরিদপুরঃ জেলার ভাঙ্গা থানায় হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা মো. আবুল হুসাইনের (৬৪) সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ওই হেফাজত নেতা বর্তমানে ভাঙ্গা থানার পুলিশের হেফাজতে রিমান্ডে আছেন। শুক্রবার বিকেলে ভাঙ্গা থানার পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবুল হুসাইনকে ফরিদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে।
শুনানি শেষে ওই আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক হোসাইন তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে আদালত থেকে সরাসরি ভাঙ্গা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
মো. আবুল হুসাইন ফরিদপুর জেলা হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক কমিটির সহ-সভাপতি। তিনি ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মোল্লাবাড়ির কলোনি জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে কর্মরত।
শুক্রবার ভোর রাতে আবুল হুসাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৭ মার্চ বেলা সোয়া দুইটার দিকে ভাঙ্গা থানায় হেফাজতে ইসলামসহ সমমনা দলগুলোর কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে থানার প্রধান ফটকসহ থানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর করেন।
এ হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হন। এই হামলার ঘটনায় আহত ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩০০ ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
মামলার আসামী হিসেবে মো. আবুল হুসাইনসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক বিকাশ মন্ডল বলেন, ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ সফরের পর ভিআইপিরা যাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নির্বিঘ্নে ঢাকায় ফিরতে না পারেন, সে জন্য ভাঙ্গা থানায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়।
মামলার তদন্তের সূত্র ধরে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় জেলা হেফাজতের নেতা মো. আবুল হুসাইনকে। এ পর্যন্ত এ মামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হল।
বিকাশ মন্ডল বলেন, আবুল হোসাইনকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া বাকি ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।