বিএনপির উচিৎ করোনা নিয়ে রাজনীতি না করা

প্রভাত আহমেদ এপ্রিল ১৪, ২০২১, ০১:৪৬ পিএম
ছবিঃ সংগ্রহীত

ঢাকাঃ বিএনপি আজ জন-বিচ্ছিন্ন, ৪২ বছরের মূল্যায়নের দেখা যাচ্ছে, বিএনপি সময়কে ধারণ করে এগিয়ে যেতে পারেনি। ১৪ বছর দলটি ক্ষমতায় নেই। এ সময়ে অনেক নতুন নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন। রাজনীতি নিয়ে এঁদের অনেকেই এখন খোঁজখবর রাখেন। এঁদের সামনে বিএনপি নিজেদের নতুনভাবে তুলে ধরতে পারেনি।

বিএনপির সাংসদদের বালখিল্য আচরণ যে জনমনে যথেষ্ট হাস্যরসের সৃষ্টি করছে, তা বিএনপির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বুঝতে পারছেন কি? বিএনপি দলীয়ভাবে নেতা-কর্মীদের জন্য কোনো নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি। এ কারণেই নেতা-কর্মীরা কখনো একই সুরে কথা বলেন না বা বলতে পারেন না। এটা হচ্ছে বিএনপির রাজনীতির বড় দুর্বলতা। তবে বিএনপি দাবি করতে পারে, এটা তাদের রাজনৈতিক উদারতা। নেতা-কর্মীদের চিন্তা বা বাকস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করে না।

বিএনপির এলোমেলো রাজনীতির অনেক উদাহরণ আছে। শুধু অভ্যন্তরীণ রাজনীতিই না, আন্তর্জাতিক রাজনীতির বেলাতেও বিএনপি একই ধরনের আচরণ করেছে। বহির্বিশ্বে যারা বিএনপির ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, তারা বিএনপি থেকে এখন অনেক দূরে।

বিএনপি করোনার টিকা নিয়েও অপরাজনীতি করেছে, এখন লকডাউন নিয়ে নানান অপপ্রচার ও উসকানি দিচ্ছে।  বিএনপির অপরিণামদর্শী বক্তব্য ও উসকানিতে অনেকে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছে। সমালোচনার তীর ছোঁড়া আর মিথ্যাচারের বিষবাষ্প ছড়ানো ছাড়া বিএনপি করোনাকালে জনকল্যাণে কী করেছে? কোন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে?

করোনার এই মহামরীতে বিএনপির উচিৎ মানুষের পাশে দাড়ানো, জনকল্যাণের জন্য তৃণমুলের নেতাদের নিয়ে কাজ করা, করোনায় অনাহারি মানুষের মুখে দু’বেলা খাবার তুলে দেয়া, বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে দাড়ানো উচিৎ এই মহূর্তে বিএনপির; কিন্তু তারা সেটা করছে না, বরং অযথাই সরকারের নানান সমালোচনা করে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে, এটা তাদের রাজনীতির জন্যও অত্যন্ত খারাপ দিক।

করোনায় বিএনপি নির্মম ও নির্লজ্জ রাজনীতি করছে। তারা একবার বলে লকডাউন দিতে হবে, আবার বলে লকডাউন দিলে মানুষ কী খাবে? তাদের দ্বিমুখী নীতি এবং করোনা নিয়ে অপরাজনীতি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, বিএনপির এমন বিভ্রান্তকর রাজনীতিই তাদের শেষ করে দিবে।

করোনা মোকাবিলায় সরকার সমন্বিতভাবে কাজ করে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর বিএনপি মানুষকে বিপথগামী করছে। তাদের দলের অবস্থাও লেজেগুবরে। তারা করোনার চেয়েও ভয়াবহ ভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের রাজনৈতিক আইসোলোসন শুরু হয়ে গেছে।

জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া এদেশে কোন আন্দোলন সফল হয়নি, এমনকি পৃথিবীর কোথাও হয়নি। এছাড়া দেশে আন্দোলনের কোন পরিস্থিতি বিরাজমান না থাকায় বিএনপি বারবার ডাক দিয়েও সাড়া পাচ্ছে না। আবার তাদের নেতিবাচক রাজনীতির কারণেও বিএনপির আন্দোলনে মানুষ সাড়া দিচ্ছে না।

একের পর এক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বর্তমানে তারা হেফাজতের সন্ত্রাসের ওপর ভর করেছে। যার লক্ষণ নেতিবাচকতা, মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র আর আগুন সন্ত্রাস। তাই বিএনপি’র এখন রাজনৈতিক আইসোলেশন দরকার বলে মনে করে জনগণ।

করোনা মহামারির এ সময়ে বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার হটানোর নামে ধান ভানতে শীবের গীত গাইছেন। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন অসহায়, কর্মহীন, খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনগণকে সতর্ক করছে তখন বিএনপি তাদের উগ্র সাম্প্রদায়িক মিত্রদের নিয়ে দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।

আগামীনিউজ/প্রভাত