সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করল বিএনপি

ডেস্ক রিপোর্ট এপ্রিল ১, ২০২১, ০৯:১৫ এএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রামণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের জনসমাগম ঘটে এমন 'রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক' কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করেছে বিএনপি। নেতা-কর্মী-সমর্থক-জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

বুধবার বিকেলে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। 

পরে রাতে দলের কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের উদাসীনতার ফলশ্রুতিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় জনগণ, নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সমাগম ঘটে এ ধরনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে মোবাইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করবে বলে বলা হয়। এছাড়া নেতা-কর্মী-সমর্থকদের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, সার্বক্ষণিক মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয়। 

একই সঙ্গে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের উদাসীনতায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিধানে দ্রুত কার্যকর ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেন- দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। 

সভার অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, হেফাজতের কর্মসূচির পর সারাদেশে পুলিশের সাড়াশি অভিযান চলছে বলে দলের কাছে তথ্য আছে। এছাড়া বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন জেলায় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সভায় এসব ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।  

সূত্র জানায়, সভায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর 'কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস' শীর্ষক বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়।  এছাড়াও হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আগামীনিউজ/সোহেল