ঢাকাঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পদ্মা সেতু কারো পৈতৃক সম্পত্তি না। অথচ মনে হয় যে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের পৈতৃক সম্পত্তি দিয়ে তৈরি করেছে। বিএনপি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাবে, না নিচ দিয়ে যাবে—তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে গতকাল সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমরা সব সময়ই উন্নয়নের পক্ষে। আমাদের দলই হলো উন্নয়নের দল, সৃজনশীলতার দল। আমরা কখনো কোনো নেগেটিভ রাজনীতি করি না। প্রত্যেকটি মানুষ এখানে ট্যাক্স দিচ্ছে। যেখানে এক টাকা সেখানে ১০ টাকা ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। ভ্যাটের পরিমাণ তিন/চার/পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। এখানে যেটা চলছে সেটা হলো উন্নয়নের নামে পুরোপুরিভাবে একটা লুটপাট। উন্নয়নের ভিত্তি জিয়াউর রহমানের সময় শুরু হয়েছিল, সেই ভিত্তির ওপরেই এখন উন্নয়ন হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গাদের শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কারণে ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন’ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া হতদরিদ্র রোহিঙ্গাদের নিজভূমিতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে শুরু থেকেই জনবিচ্ছিন্ন ও অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ও পশ্চিমা বৃহৎ শক্তিগুলোর ‘না’ উপেক্ষা করে বঙ্গোপসাগরের মুখে নতুন সৃষ্ট ভাসানচর দ্বীপে রোহিঙ্গাদের একাংশকে স্থানান্তরের ফলে তাদের সম্মান ও নিরাপত্তার সঙ্গে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দাবি দুর্বল হয়ে পড়েছে।
আগামীনিউজ/প্রভাত