অধিকার আদায়ে লড়াইয়ের বিকল্প নাই: মান্না

ডেস্ক রিপোর্ট সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০, ০৪:৩৬ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে লড়াইয়ের কোন বিকল্প নাই বলে মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার জনগনের সকল অধিকার হরন করছে। এই সরকারের আমলে গণতান্ত্রিক অধিকার অবশিষ্ট নাই, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবার সম্ভাবনাও নাই।

আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তোপখানার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ মিলনায়তনে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারের সাথে কোন আপোষ নাই। আপোষ চলবে না। আপোষ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। গণতান্ত্রিক অধিকার নাই বলেই দুর্নীতি আজ প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পেয়েছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনটাই হচ্ছে সংবিধান ও গণতান্ত্রিক অধিকার পরিপন্থি। সবাই ভাবতে হবে জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন পথ তৈরী করতে হবে।

পরিষদের আহ্বায়ক ও সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাসদ সাধারন সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণসংহতি আন্দোলন সম্বয়কারী কমরেড জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, নাগরিক ঐক্য সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সার, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, পরিষদের সদস্য সচিব আবদুল মোনেম, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি মোয়াজ্জেম হোসন খান মজলিশ, বাংলাদেশ কর্মসংস্থান আন্দোলন চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ইউডিপি চেয়ারম্যান গাজী মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ কো-চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, গ্রীণ পার্টি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, বাংলাদেশ কোর সমাজ সভাপতি মো. হাসান, ইসলামী ঐক্যজোট ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমীন প্রমুখ।

কমরেড সাইফুল হক বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধ আইন সংবিধান পরিপন্থি একটি কালো আইন। পরিপূর্ণ অগণতান্ত্রিক এই আইনের মাধ্যমে শাসকগোষ্টি রাজনীতি নিয়ন্ত্রনের অপচেষ্টা করছে। সংবিধন প্রদত্ত অধিকার আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন পরিপূর্ণ ব্যর্থ। তারা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

নাজমুল হক প্রধান বলেন, রাজনীতিকে ধ্বংস করতেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন প্রনয়ন করা হয়েছে। এই এসি থাকলে মুক্ত রাজনীতি করা যাবে না। স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের মাধ্যমে প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মীদের নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।

কমরেড জোনায়েদ সাকি বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজন আন্দোলন। শাসকদলগুলো নিজেদের কতৃত্ব বজায় রেখে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে। এই সরকার উন্নয়নের গণতন্ত্রের নামে প্রকৃত অর্থে ফ্রাসীবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। রাজনৈতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নিবন্ধন আইন বাতিলে সোচ্চার হতে হবে।

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, দেশকে রাজনীতি শূণ্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই ১/১১ সরকার তথাকথিত নিবন্ধন আইন প্রনয়ন করেছিল। গণতান্ত্রিক সরকার সেই আইন কার্যকর করে মূলত রাজনৈতক বিকাশের পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। দেশের রাজনীতি এখন অরাজনৈতিক ব্যাক্তি ও গোষ্টিদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় রাজনীতিতে আর রাজনিতিবিদদের অবস্থান থাকবে না। তাই রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের হাতে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন প্রয়োজন।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন নামক সংবিধান পরিপন্থি ও গণতান্ত্রিক অধিকার পরিপন্থি কালো আইন বাতিলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আগামীনিউজ/মিথুন