ঢাকাঃ 'অজানা রহস্যজনক কারণে ১৫ আগস্ট মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের খলনায়কদের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন না। ১৫ আগস্ট মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের খলনায়করা প্রধানমন্ত্রীর সাথেই এখনো রয়েছেন। ১৫ আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনার সাথে সাথেই যারা কেবিনেট এবং সংসদ সদস্য থাকলেন তারা মরহুম শেখ মজিবুর রহমানের কেবিনেট ও পার্লামেন্টে ছিলেন', বলছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, এটি নতুন করে বলার আর প্রয়োজন নেই যে, আওয়ামী লীগের নেতারাই রক্তাক্ত লাশ ডিঙ্গিয়ে নতুন করে শপথের মাধ্যমে মন্ত্রিসভা গঠন করে খন্দকার মুশতাকের নেতৃত্বে। খন্দকার মুশতাক ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাকশালের মন্ত্রী ছিলেন এবং বাকশালের পার্লামেন্টেই খন্দকার মুশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার অধীনে কার্যক্রম চালাতে থাকে। খন্দকার মুশতাকের মন্ত্রিসভার শপথ পরিচালনা করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। ১৫ আগস্টের পর খন্দকার মুশতাকের সময়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং মন্ত্রিপরিষদের অনেক সদস্যই শেখ হাসিনার অধীনে রাজনীতি করেছেন। কিন্তু তাদেরকে কখনো খলনায়ক তিনি বলেননি।
আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান সরকারি চাকরি করতেন এইট টি ইমামের মতোই। সেনাবাহিনী সরকারের একটি বিভাগ। তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ব্যক্তি, প্রথম ব্যক্তি নন। যিনি সেনাবাহিনীর প্রধান তার কোনো দায় নেই, দায় নাকি জিয়াউর রহমানের! তৎকালীন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহর হাতেই ছিল সমগ্র সেনাবাহিনীর কমান্ড। অথচ আওয়ামী লীগের এমপি হওয়ার কারণে তিনি অভিযুক্ত নন। কারণ যে যত অপরাধই করুক শেখ হাসিনার আনুগত্য করলে তার সাত খুন মাফ।
তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের সাথে আওয়ামী লীগ নিজেরাই জড়িত তা দিবালোকের মতো যেমন সত্য ঠিক তেমনিই সুপরিকল্পিতভাবে ২১ আগস্টের সাথেও আওয়ামী লীগের আপনজনরা জড়িত। ২১ আগস্টে বোমা হামলার পূর্বাপর ঘটনা পরম্পরাতে তা সুস্পষ্ট। অসংখ্য উদাহরণের মধ্যে একটি উদাহরণ হচ্ছে- মুক্তাঙ্গন থেকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কেন তারা সভা স্থানান্তর করেছিলেন সেই রহস্য সম্পর্কে তারা নির্বাক থাকেন।
আগামীনিউজ/এএইচ