ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনাকে ইস্যু করে ‘কেউ কেউ সরকার হটানোর দিবাস্বপ্ন দেখছে’।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিজের বাসভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শেকড় এদেশের মাটির অনেক গভীরে, কোনও গুজব রটিয়ে লাভ নেই। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের বিভিন্ন জোনের সাথে নিয়মিত আলোচনার অংশ হিসেবে এদিন খুলনা জোনের সাথে ভিডিও কনফারেন্স হয় মন্ত্রীর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি অশুভ চক্র নানা ইস্যুতে গুজব রটনা ও অপপ্রচারে লিপ্ত। সাবেক সেনাসদস্য সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মর্মান্তিক ঘটনাকে ঘিরে কেউ কেউ দুই বাহিনীর মধ্যে উসকানি দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জনগণ এসব বিষয়ে সচেতন রয়েছে। এ ধরনের ঘটনাকে ইস্যু করে সরকার হটানোর দিবাস্বপ্ন দেখছে কেউ কেউ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতোমধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি গুজব রটনা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার বন্ধে দেশ-বিদেশের সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে দেখা দিয়েছে। দেশে কয়েক সপ্তাহ একটি নির্দিষ্ট ট্রেন্ডে অবস্থান করলেও এ সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা বাড়ার সাথে সাথে সংক্রমণের হারও বেশি দেখা যাচ্ছে। আবার অনেকে লক্ষণ দেখা দিলেও নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। পরীক্ষার প্রতি অবহেলা, স্বাস্থ্যবিধির প্রতি শৈথিল্য আমাদের চলমান পরিস্থিতিকে যে কোনো সময় ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে।
তিনি বলেন, আমি মানুষের মাঝে মাস্ক পরিধানের গুরুত্ব তুলে ধরে অব্যাহত সচেতনতা আরও বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ঈদের সময় টার্মিনাল এবং পরিবহনে কেউ কেউ মানলেও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করেনি।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এবার ঈদযাত্রায় ফেরিঘাটের সমস্যা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ছাড়া অন্যান্য সকল মহাসড়কে ভ্রমণ স্বস্তিদায়ক ছিল। আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, জেলা প্রশাসন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ প্রকৌশলীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল দফতর ও সংস্থায় কর্মরতদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই। পদোন্নতি-পদায়নের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার পাশাপাশি আমরা পারফরম্যান্সকেও মূল্যায়ন করবো। সরকারি দায়িত্ব পালন, সেবার মানসিকতা, সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং কর্মনিষ্ঠা মূল্যায়ন করা হবে। ভালো কাজ করলে পুরস্কৃত হবেন, মন্দ কাজ করলে তিরস্কারসহ চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে হবে। তাই আমি সকলকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
আগামীনিউজ/এসপি