ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা-১০ উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসুন। এবারও যদি আপনাদের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতারণা করে তবে তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে।’
মঙ্গলবার প্রচারণার দশম দিনে ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনে প্রচারণায় ব্যাপক শোডাউন করেছে বিএনপি। প্রচার-প্রচারণা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সংসদীয় এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালায় দলটি। এসময় ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউল আলমের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে নির্বাচন করা বিএনপির উদীয়মান নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তাদের নেতৃত্বে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়। এতে নির্বাচনী প্রচারণা পরিণত হয় দলীয় শোডাউনে।
এসময় অন্যদের মধ্যে বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশিদসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও শ্রমিক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী প্রচারণা হলেও এসময় নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নেতানেত্রীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়েও স্লোগান দেন।
শেখ রবিউল আলম বলেন, নির্বাচনে অপকৌশল গ্রহণ করলে রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগকে চরম মূল্য দিতে হবে। জনগণ জেগে উঠেছে। জনগণের রায়কে আর ডাকাতি করা যাবে না।
শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, জনগণের রায় ছিনতাই করতে দেওয়া হবে না। হয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে নয়তো সরকারের ক্ষমতা ছাড়তে হবে। ঢাকা ১০ আসনের জনগণের সাথে আওয়ামী লীগ সরকার কোনো প্রতারণা করলে তার জবাব দেওয়া হবে।
‘গণসংযোগে জনজোয়ার’ উল্লেখ করে রবি আরো বলেন, আজকে গণসংযোগে জনগণ যেরকম স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন তেমনি নির্বাচনের দিনও থাকবেন। গত জাতীয় নির্বাচন ও সিটি নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে গিয়েছেন। তাদেরকে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট দিতে দেয়নি।
প্রচারণায় অংশ নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন বলে কিছু নেই। ইসিতে কিছু সরকারের চাটুকারেরা বসে আছেন। একজন কমিশন মাঝে মাঝে সাহসী কথা বলেন। যা যথেষ্ট নয়। নির্বাচনের দিন একটা লিস্ট ধরিয়ে দিয়ে বলবেন এটা ঘোষণা করেন। সেরকম জঘন্য একটা রাষ্ট্রে বাস করছি। এ থেকে উত্তরণের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মহান স্বাধীনতার ঘোষক এর দল বিএনপির উপর দায়িত্ব রয়েছে। তাই সকল দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্তত নির্বাচনী ব্যবস্থার একটা স্থায়ী সমাধান করি। যাতে পাঁচ বছর পর পর একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আগামীনিউজ/রাফি/নুসরাত