ঢাকা: সরকার বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। শনিবার (৭মার্চ) রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস অর্থনীতির ওপরে প্রচন্ড রকমের প্রভাব ফেলছে। এই অসুখটি সারা পৃথিবীতেই মানুষের ক্ষতি করছে। সরকারের এই বিষয়ে প্রতিরোধে আগ্রহ কম। তারা ব্যস্ত হয়ে আছে মুজিব বর্ষ নিয়ে। অন্য বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি সময় দিতে পারছে না। এর ফলে ভাইরাসটা ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট রকমের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, দিস ইজ টোটাল ইরেসপনসিবিলিটি পার্ট অব দি গভার্মেন্ট। বিশ্বজুড়ে চলছে এই রকম বিপর্য্য় কিন্তু এই বিষয়ে সরকারের প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত ছিলো কিন্তু তারা সেটা করছে না। এব্যাপারে সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিলো।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলছি যে, প্রত্যেকটি পোর্টে স্ক্যানিং মেশিন থাকা দরকার, লোকবল থাকা উচিত। ডায়োগনাইসিস করার জন্য যে কিটস তার অপ্রতুলতা আছে, পাওয়া যাচ্ছে না, মাস্কেরও যথেষ্ট অপ্রতুলতা রয়েছে। ‘ একই সঙ্গে ইমার্জেন্সি হসপিটাল ওপেন করে দেয়া উচিত ছিলো যেখানে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য নেয়া হবে, সেই ব্যবস্থা থাকবে- এখন পর্য়ন্ত এই ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা আমরা জানতে পারেনি।’
এ বিষয়ে সদ্য ওমরাহ পালন শেষে দুবাই হয়ে দেশে ফেরা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সাহেব কয়েকদিন আগে দুবাই থেকে এসেছেন। তিনি বলেছেন যে, এয়ারপোর্টে একটা ফরম দেয়া হচ্ছে তাতে বলা আছে যে, কোন কোন দেশ আপনি ভ্রমন করছেন। কিন্তু ফরমটা কেউ কালেক্টও করছে না যখন যাত্রী ইমিগ্রেশনে আসছেন এবং তার কাছে ওই বিষয়ে জানতে যাওয়া হচ্ছে না, তার কোনো পরীক্ষাও করা হচ্ছে না। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ব্যাপার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি যে, করোনাভাইরাস বিষয়ে সারা পৃথিবী যখন উদ্বিগ্ন ও বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। প্রত্যেকটা দেশের সরকার বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। যাতে ভাইরাস না আসতে পারে, আক্রমন না করতে পারে তার জন্য যেসব ব্যবস্থা নিচ্ছেন যেমন পোর্টসমূহ ল্যান্ড পোর্ট, এয়ারপোর্ট, সি পোর্ট বলুন সেগুলোতে তারা প্রয়োজনীয় স্ক্যানিং ব্যবস্থা তৈরি করেছেন ইতিমধ্যে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের বাংলাদেশে এটা এতো বেশি ইনএফিসিয়েন্ট –একমাত্র ঢাকা এয়ারপোর্ট ছাড়া আর বোধহয় কোথাও এই স্ক্যানিং মেশিন সম্ভবত নাই।
আগামী নিউজ/রাফি/নাঈম