ঢাকা : জামিন পাওয়া কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হক বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক এবং যার সহধর্মিণী যুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার ছিলেন সেই নেত্রীর মুক্তির জন্য স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর মানববন্ধন করতে হচ্ছে। এর চাইতে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।’
ফখরুল বলেন, ‘যেই মানুষটি একজন গৃহবধূ ছিলেন তিনি জাতির প্রয়োজনে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নেমে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে এদেশের গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার করেছিলেন। আজকে সেই নেত্রী কারাগারে বন্দি। এর চাইতে বড় লজ্জা আর কিছু হতে পারে না।’
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখার কোনো আইনি বিধান নেই। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাঁকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলার জামিন শুনানি রয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করব যে বিচার বিভাগ তাঁদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবেন এবং সত্যিকার অর্থে মামলার যে রায় হওয়া উচিত সেই রায় দিবেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ রকম মামলায় নাজমুল হুদা জামিনে আছেন, আপনাদের মন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া জামিনে আছেন, মহিউদ্দিন আলমগীর জামিনে আছেন। আর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করার জন্য যিনি গণতন্ত্রের মা সেই দেশনেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের জায়গা দেয়া হয়না সমাবেশ করার। আজকের এই সমাবেশটি করার কথা ছিলো গত বৃহস্পতিবার। সেদিন আমাদের এই সমাবেশ করতে দেয়া হয় নাই। আমরা এদেশ স্বাধীন করেছি কি ওর জন্যই? প্রতিবাদ করতে পারবোনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবো না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের সেই চরিত্র নয়। বাংলাদেশের মানুষ সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, সবসময় সংগ্রাম করেছে, স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এ সরকারের কোনো অধিকার নেই ক্ষমতায় থাকার। এখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিলে দেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে বলে আমরা আশা করছি।’
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার, শ্রমিক নেতা আবুল খায়ের খাজা, শ্রমিক দলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুল কবির মজুমদার, অর্থ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আগামীনিউজ/রাফি/সবুজ