ঢাকাঃ কুয়াশা যেন বরফের খণ্ড হয়ে পড়ছে। হাঁড় কাপানো কনকনে শীতে দিশেহারা মানুষ। বের হতে পারছে না ঘর থেকে। হাত-পা ঠাণ্ডায় যাচ্ছে জমে। ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগসহ ১৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শুক্রবারও (৬ জানুয়ারি) শৈত্যপ্রবাহ ছিল এসব জেলায়।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর-বিএমডি ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সূর্যের দেখা মিলছে না। তবে রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও খুলনায় সূর্য দেখা যাচ্ছে। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। শ্রমিক ও দৈনিক মজুরিভিত্তিক কাজ করা মানুষরা কষ্টে পড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ধরা হয় ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয় ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
ঢাকা শহরের এই তাপমাত্রাকে ২০১৮ সালের পর সর্বনিম্ন বলছে আবহাওয়া অফিস। তখন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি, পঞ্চগড়ে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, যশোরে ১০ ডিগ্রি ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিএমডি জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আকাশ মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত মাঝারি ও ঘন কুয়াশা থাকবে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। রাতের ও দিনের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে সারা দেশে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আজকে চুয়াডাঙ্গায় সবচেয়ে তাপমাত্রা কম। সেখানে রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৬ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আগামী বৃহস্পতি বা শুক্রবার থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে সারা দেশে।’
বুইউ