শিমের নতুন জাত উদ্ভাবন

নিজস্ব প্রতিনিধি এপ্রিল ১৬, ২০২১, ০৮:৪৩ পিএম
ছবি: সংগ্রহীত

ঢাকাঃ গাজীপুর জেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. গোলাম রসুলের নেতৃত্বে একদল গবেষক শিমের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। সম্প্রতি জাতীয় বীজ বোর্ড এটি অনুমোদন করেছে। নতুন বিইউ শিম-৭ জাতটি লবণসহনশীল ও উচ্চফলনশীল হওয়ায় বাংলাদেশের বিস্তৃত দক্ষিণাঞ্চলে শীত মৌসুমে অধিক পরিমাণ সবজি উৎপাদন হবে বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।

নতুন উদ্ভাবিত প্রতিটি শিম গাছ থেকে প্রায় ৫ কেজি শিম পাওয়া যায়। সেই হিসেবে হেক্টর প্রতি সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ফলনশীলতা ৩৫ টন। ১২ ডিএস/এম লবণাক্ততা সহনশীল হওয়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি উপকূলীয় জেলাসহ সারাদেশে আবাদ করা সম্ভব এই জাতের শিম। বিশ্বে টাটকা সবজিতে ০.৫ থেকে ৩২ মাইক্রোগ্রাম অ্যান্থসায়নিন পাওয়া যায়। এই জাতটিতে উচ্চমাত্রায় অ্যান্থসায়ানিনের উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেছে।

ড. মো. গোলাম রসুল জানান, প্রায় সব জাতের শিমই জাব পোকা এবং জ্যাসিড দ্বারা আক্রান্ত হয়। শিমের প্রধান শত্রু পতঙ্গ। অর্থাৎ এফিড এবং জ্যাসিড মাত্রাতিরিক্তভাবে বংশবিস্তারের কারণে ফসলটি মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে ফলন কমে যায়, যা থেকে নতুন জাতটি প্রতিরোধী। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে রোপণ করলে ১৩০ দিনে ভক্ষণযোগ্য ফল সংগ্রহ করা যায় নতুন জাতের এই শিম থেকে। তবে বীজ সংগ্রহের জন্য আরও ২০ দিন সময় বেশি লাগবে।

আগামীনিউজ/প্রভাত