চট্টগ্রাম-৪ আসনে বর্তমান এমপিসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৩, ২০২৩, ০১:৫৭ পিএম

ঢাকাঃ চট্টগ্রাম-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলমসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। 

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে বিভাগীয় কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

আসনটিতে মনোনয়ন বাতিল হওয়া ৩ প্রার্থী হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন ও লায়ন মোহাম্মদ ইমরান ও বিএনএফ প্রার্থী মোহাম্মদ আক্তার হোসেন।

রিটার্নিং কার্যালয় থেকে জানা যায়, দিদারুল আলম আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিলেও দলীয় পদের কোনো কাগজপত্র জমা দেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিনের ১ শতাংশ জনসমর্থনের তালিকা অসম্পূর্ণ ছিল। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইমরানের ১ শতাংশ জনসমর্থনের তালিকা ভুল ছিল। এছাড়া বিএনএফ এর প্রার্থী ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে পারেননি।

জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১১ আসনটি গঠিত। এটিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিদারুল আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। তার স্থলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এস এম আল মামুনের। তিনি সীতাকুণ্ডের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা। যাচাই-বাছাই শেষে আসনটিতে তিনিসহ মোট ৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নদভীকে শোকজ
বৈধ হওয়া বাকি ৫ প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী দিদারুল কবির, তৃনমূল বিএনপি প্রার্থী খোকন চৌধুরী, ইসলামীক ফ্রন্টের প্রার্থী মো. মোজাম্মেল হোসেন ও বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।


এমআইসি