বাজার নিয়ন্ত্রণে পুলিশও মাঠে থাকবে: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১২, ২০২৩, ০৩:১১ পিএম

ঢাকাঃ অসাধু সিন্ডিকেটের তৎপরতা বন্ধে পুলিশ বদ্ধপরিকর মন্তব্য করে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মনিটরিং কমিটির সঙ্গে পুলিশও যুক্ত থাকবে। ভোক্তা অধিদফতর ও জনগণের পাশে পুলিশ সব সময় থাকবে। প্রয়োজনে বড় বড় বাজারে সিটি করপোরেশনের অভিযানের সঙ্গে পুলিশও অংশ নেবে।’

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির হেডকোয়ার্টারের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন বাজার কমিটির প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিশেষ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরেই লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রতিটি পণ্যের দাম। সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না দ্রব্যমূল্য। বেশ কিছু জরুরি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও পাইকারি খোলাবাজার এমনকি সুপার শপেও প্রকাশ্যেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখনো সক্রিয় রয়েছে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র। তারা রীতিমতো পকেট কাটছে ভোক্তাদের। গুটিকয়েক অসাধু সিন্ডিকেটের কাছে কোটি কোটি ভোক্তা অসহায় হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেটের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি দেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার।


তিনি বলেন, ‘যারা বাজার অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে, সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। আর যেকোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার জন্য ডিএমপি সক্ষম। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করব।’

ব্যবসায়ীরা রসিদ সংগ্রহ করেন না মন্তব্য করে হাবিবুর রহমান বলেন, পণ্য কেনার সময় ব্যবসায়ীদের রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। কারো রসিদ না থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যাতে কোনো সিন্ডিকেট বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে। ব্যবসায়ীদের যেমন রসিদ সংগ্রহ করতে হবে, তেমনি ভোক্তারা যদি চায় সে রসিদ দেখতে পারে। এভাবে একযোগে কাজ করে আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই।’


হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারে কোনো জিনিসের স্বল্পতা নেই। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে সংকট তৈরি হয়। আগে দৌলতদিয়া ঘাটে অনেক কাঁচা মাল আটকে থেকে পচে যেতো। পদ্মা সেতু হওয়ার পর সেখানে এখন আর কোনো মালামাল আটকে থাকছে না।

নিত্যপণ্য আনার সময় চাঁদাবাজির প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, আগে রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির দৃশ্য দেখা যেত। বর্তমানে রাস্তায় কোনো হয়রানি বা চাঁদাবাজি দেখা যায় না। তারপরও কেউ অভিযোগ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সভায় সবকিছুর আগে দালালি, চাঁদাবাজি বন্ধের পাশাপাশি জোগান ঠিক রাখার তাগিদ দেন ব্যবসায়ীরা।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল।


এমআইসি