সরকারি গাড়ি কেনার নতুন নির্দেশনা

শীর্ষ কর্মকর্তার জন্য ১ কোটি ৪৫ টাকার গাড়ি কেনার সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২, ২০২৩, ১১:৫০ এএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে সরকার গাড়ি না কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এক মাস না যেতেই আবার সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য গাড়ি কেনার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি গাড়ির জন্য অর্থ বরাদ্দও আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা অর্থাৎ গ্রেড-১ এর কর্মকর্তারা পাবেন আগের চেয়ে বেশি দামের গাড়ি। আগে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে শীর্ষ কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ৯৪ লাখ টাকা দামের গাড়ি কিনতে পারতেন। এখন এ বাজেট বাড়িয়ে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন উপসচিব মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ।

এর আগে গত ২ জুলাই অর্থ বিভাগ এক নির্দেশনার মাধ্যমে সব ধরনের নতুন যানবাহন কেনা বন্ধের সিদ্ধান্তর কথা জানায়।

এ সিদ্ধান্তের পর এক মাস না যেতেই এখন নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা দামের গাড়ি কেনার সুযোগ করে দেওয়া হলো। এ গাড়ি ২ হাজার ৭০০ সিসির ইঞ্জিন ক্ষমতার বেশি হবে না, যা আগেও বলা ছিল।

এছাড়া গ্রেড-৩ বা তার চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য কেনা যাবে ৬৫ লাখ টাকা দামের গাড়ি। এতদিন তাদের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৫৭ লাখ টাকা।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন কোম্পানির কার, জিপ, পিকআপ, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্স, কোস্টার মিনিবাস (এসি ও নন-এসি) ও ট্রাকের বাজারদর বিবেচনা করে যানবাহনের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যানবাহন কেনার অনুমতি বা বরাদ্দ দেওয়ার সময় এ মূল্য অনুসরণ করতে হবে।

কোন কর্মকর্তা কত টাকার গাড়ি পাবেন

জিপ - ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা (অনূর্ধ্ব ২৭০০ সিসি) (ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ); (গ্রেড-১ এবং গ্রেড-২ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য)।

জিপ - ৬৫ লাখ টাকা (অনূর্ধ্ব ২০০০ সিসি) (রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ); (গ্রেড-৩ বা তদনিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য)।

কার - ৪৫ লাখ টাকা (অনূর্ধ্ব ১৬০০ সিসি) (রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ);

এছাড়া পিক-আপ (সিঙ্গেল কেবিন) = ৩৮ লাখ টাকা (অনূর্ধ্ব ২৫০০ সিসি) (রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ); পিক-আপ (ডাবল কেবিন) - ৫৫ লাখ টাকা (অনূর্ধ্ব ২৫০০ সিসি) (ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ)।

মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা (অনূর্ধ্ব ১২৫ সিসি) (রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ); মাইক্রোবাস = ৫২ লাখ টাকা (অনূর্ধ্ব ২৭০০ সিসি) (রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ)।

অ্যাম্বুলেন্স - ৫৪ লাখ টাকা (অনূর্ধ্ব ২৭০০ সিসি) (রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ); (৮) কোস্টার অথবা মিনিবাস (এসি) = ৭৫ লাখ টাকা (অনূর্ধ্ব ৪২০০ সিসি) (রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ)।

মিনিবাস (নন এসি) - ৩২ লাখ টাকা (অনূর্ধ্ব ২৭৭১ সিসি) (রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ); বাস (বড়, নন এসি)= ৪৬ লাখ টাকা (অনূর্ধ্ব ৫৮৮৩ সিসি) (রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত);

(ক) ট্রাক - ৩৯ লাখ টাকা (৫ টন) (রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ)।

(খ) ট্রাক - ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা (৩ টন) (রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ)।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরসমূহের যানবাহন ক্রয়ে অনুমতি অথবা বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লিখিত মূল্য অনুসরণের জন্য অর্থ বিভাগের সব শাখা অথবা অধিশাখাসমূহকে এ মূল্য মেনে গাড়ি কেনার নির্দেশনা দেয়।

এর আগে গত ২ জুলাই অর্থ বিভাগ এক পরিপত্রের মাধ্যমে নতুন যানবাহন কেনা বন্ধের কথা জানিয়েছিল।

বুইউ