যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে: মোমেন

নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১, ২০২৩, ০৩:৪৩ পিএম

ঢাকাঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ যারা আইনের শাসনের জন্য সবসময় সোচ্চার, তারা একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। একটা খুনি নয়, আরও একজন আলবদর-রাজাকারকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। এটা আমার কাছে তাজ্জব মনে হয়। একটি আইনি দেশ বেআইনি লোককে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখনো বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে রয়েছে। একজন যুক্তরাষ্ট্রে, আরেকজন কানাডায়। বাকি তিনজন কোথায় আছে আমরা জানি না। ওই সব দেশ মানবাধিকারের কথা বলে। অথচ আত্মস্বীকৃত খুনিদের আশ্রয় দিয়ে তারা যেসব কথা বলে তার সঙ্গে কোনো মিল নেই। আমরা তাদের জানিয়েছি, তারা কী ধরনের অপরাধী। তারাও খুনিদের বিচার সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। সব প্রক্রিয়া তাদের জানিয়েছি। এত সব করার পরও তারা অজুহাত দেয়। আমরা বলেছি, ন্যায়বিচারের জন্য তাদের (খুনি) আমাদের হাতে দেন। বিষয়টা তাদের জন্য লজ্জার। আশা করি তাদের বিবেক বাড়বে। 

মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের সঠিক তথ্য দিয়েছি। কিন্তু তারা খুনিদের ফেরত দেয়নি। এটা খুবই দুঃখের বিষয়। খুনিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে তারা কখনো কথাও বলে না। যারা মারা গেছেন, তাদের মাগফিরাত কামনা করি। কিন্তু খুনিরা ওই সব দেশের প্রোটেকশনে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, নূর চৌধুরী কানাডায় আছে, তাকে ফেরত চেয়েছি। এনিয়ে তাদের সঙ্গে বহু আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তারা একটা না একটা বাহানা করে। এখন বড় বাহানা হচ্ছে আমাদের আদালত তাকে ফাঁসির রায় দিয়েছে। তার তো স্কোপও আছে, সে এখানে এসে ক্ষমা চাইতে পারে। কিন্তু কানাডা বলছে, যেসব দেশে ফাঁসির বিধান আছে সেসব দেশে তারা ফেরত পাঠায় না। আশ্রয়প্রাপ্তরা কানাডিয়ান নাগরিক না কি অবৈধ, সেটাও ঠিক করে বলে না। যদিও কোর্ট তাদের আদেশ করেছে, খুনিদের স্ট্যাটাস বলতে, তারা সেটাও বলেনি। 

মন্ত্রী আরও বলেন, আমেরিকার সরকারকে অনুরোধ করেছি, সেখানে যে আছে তাকে ফেরত পাঠাতে। কিন্তু তারা পাঠাচ্ছে না। তারা বলছে, এটা কোর্টে আছে, অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আছে। তাদের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস আমাদের বিচার প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছে। আমাদের বিচারটা খুব স্বচ্ছ হয়েছে। আইন অনুযায়ী হয়েছে, সেটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে জানিয়েছি। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয় না। 

বুইউ