বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী ইতালি

নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৩, ২০২৩, ০৮:৪০ পিএম
সংগৃহীত ছবি

ঢাকাঃ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কেবল ঢাকা নির্ভর না হয়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে চায় ইতালি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে ইতালির চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মাতিয়া ভেনতুরা এ মন্তব্য করেন।

এ সময় চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হওয়ায় এখানে শিল্পায়নের যে বিপুল সুযোগ রয়েছে তা গ্রহণ করতে পারে ইতালি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার প্রসারে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পুরো নগরের অবকাঠামো খাত সংস্কার করছেন এবং আরও বেশ কিছু প্রকল্পের মাধ্যমে শহর ও বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছেন। ইতালি এই উন্নত অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।

জবাবে ইতালির চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মাতিয়া ভেনতুরা বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সাফল্যে আকৃষ্ট হয়ে ইতালি বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে পরিবেশগত মাপকাঠিতে না উতরাতে পেরে বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য ইউরোপে ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারছে না। অথচ প্রতি বছর বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ চামড়া উৎপাদিত হয়। বিশ্বে চামড়াজাত পণ্যের যে বিপুল বাজার তা প্রসারিত করতে ইতালি বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা ভাবছে। যার ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৈচিত্র্য তৈরি হবে এবং ইতালিও লাভবান হবে। ইতালি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কেবল ঢাকা কেন্দ্রিক না হয়ে চট্টগ্রামকেও গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।

বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ইতালিতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। বাংলাদেশি শ্রমিকরা এত দক্ষ যে ইতালির জাহাজ নির্মাণ খাতে তারা সবচেয়ে প্রাধান্য পাচ্ছেন। এ কারণে ইতালি বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য প্রক্রিয়া সহজ করে ভিসা প্রদানের হার বাড়িয়েছে।

সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম এবং প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী।


এমআইসি