বেতন ১০ শতাংশ বাড়ালে আরও মঙ্গল হতো: পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৬, ২০২৩, ০৭:১০ পিএম

ঢাকাঃ সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ৫ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে, সেটা ১০ শতাংশ বাড়ালে আরও ভালো হতো বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবার খোঁজ রাখেন। বেতন পাঁচ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। তবে ১০ শতাংশ দিলে আরও মঙ্গল হতো, কারণ মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু তারও (প্রধানমন্ত্রী) তো হিসাব করতে হয়। তিনি সবকিছু মনে করে এটা দিয়েছেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।

সোমবার (২৬ জুন) শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান ২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে নির্বাচিতদের হাতে সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, টাকার জন্য নয়, প্রধানমন্ত্রীকে সবাই ধন্যবাদ জানাই, ওনার দৃষ্টিভঙ্গি ও সচেতনতার জন্য। তিনি আমাদের দলনেতা, দলের প্রধান সরকারপ্রধান, তার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি। তার নেতৃত্বে কাজ করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি। আমরা দেশের জন্য অবদান রাখছি।

এম এ মান্নান বলেন, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। আর এসব দৃশ্যমান উন্নয়নের পেছনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অবদান রয়েছে। এটা খুব ভালো লাগে। সরকারের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ের মতো পরিকল্পনা কমিশন সম্পর্কে জনগণের কাছে তেমন পরিচিত না। তবে এখন মানুষ পরিকল্পনা কমিশন সম্পর্কে জানে। আগে মানুষের চিন্তাভাবনা ছিল আধ্যাত্মিক। এখন মানুষ বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করতে শিখছে। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে। এটা ভালো দিক। দেশের উন্নয়নে সবাইকে দলগতভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ যেন বাঙালির হাতে থাকে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে এবং দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, যারা পুরস্কার পেলেন তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা কাজ ভালোই করছি। দেশের অবকাঠামোর বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ, কৃষিতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়ন ও পরিবর্তনে আমাদেরও অবদান আছে। ঘরে বিদ্যুৎ আছে, বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে। এটা অনেক ভালো একটা দিক কিন্তু। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাচ্ছে।

পরিকল্পানা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার আহসান হোসেনসহ তিনজন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। শুদ্ধাচার চর্চার কারণে তাদের ২০২৩ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন- শিল্প শক্তি বিভাগের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ফারজানা ববি এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের অফিস সহায়ক মালা খাতুন।

বুইউ