স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারীদের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে: মোমেন

আগামী নিউজ ডেস্ক জুন ২৫, ২০২৩, ০৯:৪৩ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিনষ্টকারীদের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে।

রোববার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

জনগণ সরকারের শক্তি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করব কুচক্রী মহল যারা দেশে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা (জনগণ) রুখে দাঁড়াবেন। আপনারা বারবার প্রমাণ করেছেন কোনো বিদেশি শক্তির কাছে আপনারা পরাজিত হননি। এবারও আপনারা সরকারের সঙ্গে এক হয়ে বিদেশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবেন। গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিচ্ছে। যাতে করে কোনো ধরনের উন্মাদনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা এবং আর্থ-সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে রাষ্ট্রীয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্ন না হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য বহু উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের থেকে সাবধান।

অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে দেশের অসামান্য অর্জন ভেস্তে যাবে দাবি করে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। তাতে দেশের জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বাড়বে। যেসব দেশ স্থিতিশীল তাদের জনগণ সুখে আছে। যেসব দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, সেখানকার জনগণ কষ্টে আছে।

দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো ধরনের প্ররোচনায়, কোনো তাগিদে দেশের অমঙ্গল ডেকে আনবেন না। দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা। কোনো দুষ্টু লোকের বাংলাদেশের সরকারের প্রতি বিদ্বেষ থাকতে পারে। সরকারের প্রতি বিদ্বেষ থাকার কারণে তারা দেশ ধ্বংসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আমি তাদের বন্ধুদের বলব সাবধান। দেশ ধ্বংস করলে আপনারও ক্ষতি হবে।

দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য আরও দক্ষ হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অনেক সময় প্রস্তাবিত প্রকল্পের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হয়। এতে করে প্রকল্পের ব্যয়ের পাশাপাশি সরকারের ব্যয়ও বাড়ে। তাই প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য আরও বেশি তদারকির প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমরা একটি দেশের সিদ্ধান্ত দেখতে পারি। সেখানে প্রকল্পের যিনি পিডি থাকেন তারা যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারেন তিনি সাসপেন্ড হয়, জেল ও জরিমানা করা হয়। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আমাদের মতো বাড়ে না। এ ব্যাপারে দৃষ্টি দিলে খুশি হব।

বাজেটে আয় এবং আয়কর দাতা বাড়ানোর জন্য দুটি প্রস্তাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রথমটি হলো যেসব বাংলাদেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে তারা প্রত্যেকে যেন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করে। দ্বিতীয় যারা ২৫ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে লেনদেন করে তারা যেন ব্যাংক বা চেকের মাধ্যমে লেনদেন করেন। তাহলে সরকারের হিসাব থাকে।

বুইউ