ঢাকাঃ সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রাথমিক ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। সবশেষ প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, সিলেটে ১১০টি কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ৬৬ হাজার ২৫৪ ভোট। অন্যদিকে লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৫০ ভোট। সিলেটে মোট কেন্দ্র ১৯০।
এদিকে রাজশাহীতে ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৬ কেন্দ্রের ফলাফল জানা গেছে। এতে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ৪৩ হাজার ৩৭৬ ভোট পেয়েছেন। আর লাঙল প্রতীকের সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন ২ হাজার ৪১৯ ভোট।
এর আগে বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলে ভোটগ্রহণ।
সিলেট সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন। আর ছয়জন রয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির জরিহুল আলম, স্বতন্ত্র আব্দুল হানিফ, ছালাহ উদ্দিন রিমন, শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সিলেটের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
অন্যদিকে রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এদের মধ্যে এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ ভোটার। নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। আর ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার। বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
বুইউ