মামলার পর আটক সাংবাদিক শামসুজ্জামান : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৯, ২০২৩, ০২:৫২ পিএম

ঢাকাঃ প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মামলার পর তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তবে সিআইডি না অন্য কেউ তাকে আটক করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি।

বুধবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান এই তথ্য দেন।

ভোর পাঁচটার দিকে আশুলিয়া থানার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার একটি বাসা থেকে সিআইডি পরিচয়ে শামসুজ্জামান শামসকে আটক করার অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন।

নিয়ে যাওয়ার সময় একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়। এ সময় কক্ষের ভেতরে দাঁড় করিয়ে তার ছবি তোলা হয়।

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইনে করা একটি প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। প্রতিবেদনটি করেছিলেন শামসুজ্জামান। শামসুজ্জামানকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার সঙ্গে তার ওই প্রতিবেদনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

প্রথম আলোতে যে ছবি বা সংবাদ ছাপানো হয়েছে সেটা নিয়ে রাষ্ট্র বা সরকার যদি আপত্তি প্রকাশ করে তাহলে এর একটি আইনি প্রক্রিয়া আছে। প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারিক ব্যবস্থার সুযোগ আছে। অথচ রাতের অন্ধকারে প্রথম আলোর সেই সাংবাদিককে সিআইডির কর্মকর্তারা তুলে নিয়ে গেছে। এ বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন  জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,  আইন কিন্তু নিজস্ব গতিতে চলে। রাষ্ট্র ও আপনারা সকলেই আইন অনুযায়ী চলেন। কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায় বা সংক্ষুব্ধ হয়ে থানায় মামলা করেন, সে অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নিতেই পারে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,  আমি যতটুকু জানি একটি মামলা রুজু হয়েছে। সেজন্যই সিআইডি.... আমি সম্পূর্ণভাবে সঠিক উত্তর দিতে পারছি না। কারণ আমার কাছে সব রিপোর্ট আসেনি। আপনারা যে প্রশ্ন করছেন,  সেরকম আমিও বিভিন্নভাবে অবগত হয়েছি।  

তিনি বলেন,  এই মামলাকে কেন্দ্র করে খুব সম্ভব কোনো একটা ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমি এখনও পরিষ্কার নই। আমি পরিষ্কার হয়ে আপনাদের ঘটনা জানাতে পারব। 

শামসুজ্জামানের করা প্রতিবেদনটি সঠিক ছিল না বলেও দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন,  ‘প্রথম আলোর সাংবাদিক সাহেব যে নিউজটি করেছেন সেটা সঠিক ছিল না। যেটা একাত্তর টিভির মাধ্যমে আপনারাই প্রকাশ করেছেন। এই সংবাদটা যে ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে  ছাপানো হয়েছে একাত্তর টিভির মাধ্যমে সেটা স্পষ্ট হয়েছে। 
তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসে আমরা এতোদূর এগোনোর পরে এ ধরনের একটা ভুয়া নিউজ যদি কেউ দেয় তাহলে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হতে পারে। আপনিও হতে পারেন। এই নিউজটা আপনাদের কাছেও নিশ্চয়ই ভালো লাগেনি।

রাষ্ট্রের আপত্তি আছে। সে কারণে তুলে নিয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রাষ্ট্রের আপত্তি নয়। আমিতো বলছি যে, একটি মামলা হয়েছে। তবে সমস্ত সংবাদ এখনও আমার কাছে আসেনি। আমার কাছে যে টুকরো টুকরো সংবাদ আসছে, সেটার ভিত্তিতে আমি আপনাদের বলেছি। সব বিষয়ে সুনিশ্চিতভাবে বলতে হলে আমাকে আরও একটু সময় দিতে হবে। আমাকে সব বিষয়ে জেনে বলতে হবে।

বুইউ