ঢাকাঃ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খান হত্যা মামলায় পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দুবাইয়ে গ্রেফতার হয়েছেন মর্মে কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে তাকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।
শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন আইজিপি।
সম্প্রতি দুবাই পুলিশের হাতে আরাভ খান আটক হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। আদৌ আরাভ খান আটক হয়েছেন কি না জানতে চাইলে আইজিপি সরাসরি জানান, দুবাইতে আরাভ খান আটকের কোনো তথ্য জানা নেই।
তিনি বলেন, পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে ইন্টারপোলের যোগাযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের রেড নোটিশের তালিকায় রবিউল ইসলামের নাম আসে। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি তিনি।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার যুবক রবিউল ইসলাম নিজের নাম, জাতীয়তা পরিবর্তন করে জোগাড় করেন ভারতীয় পাসপোর্ট। এ পাসপোর্টেই পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। দুবাই পাড়ি জমিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন ‘আলাদিনের চেরাগ’।
দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। মূলত তিনি বাংলাদেশের নাগরিক রবিউল ইসলাম। তবে ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে রাখেন আরাভ খান।
পুলিশ বলছে, আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়া তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে বিলাসী জীবনযাপন ও সোনার দোকান চালু করে সেখানে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে গিয়ে সম্প্রতি আলোচনায় উঠে আসেন আরাভ খান। এরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে পড়েন তিনি। বেরিয়ে আসে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি তিনি। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রে আরাভ খানের নাম রবিউল ইসলাম। ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে আরাভ খান নাম ধারণ করে রবিউল দুবাইয়ে পৌঁছান।
বুইউ