ঢাকা: মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) যুগ শেষ হতে চলেছে। এবার আসছে ই-পাসপোর্ট। ই-পাসপোর্ট ও আধুনিক সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। একইসঙ্গে ই-পাসপোর্ট কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর আধুনিক দেশ গঠনের ভিশনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে জার্মানি।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার জার্মান দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে উল্লেখ করা হয়, ই-পাসপোর্ট প্রকল্প দুই দেশের মধ্যে ব্যবসার পাশাপাশি নিরাপত্তা ইস্যুতে সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের এই প্রকল্পে বিশ্বের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর, নিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জার্মান কোম্পানি ভারডোস জিএমবিএস সমানভাবে সফলতার সঙ্গে কাজ করেছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। ভ্রমণের ক্ষেত্রে জাতীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব হবে।
আগামী ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করা হচ্ছে। জার্মানি এই পাসপোর্ট প্রকল্পে সহযোগিতা করছে। ই-পাসপোর্ট কর্মসূচি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আধুনিক দেশ গঠনের ভিশনের সঙ্গে যুক্ত। জার্মানি এই ভিশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। ই-পাসপোর্ট প্রকল্প গ্রহণে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে জার্মানি।
সাধারণ পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্টের পার্থক্য হলো- এতে মোবাইল ফোনের সিমের মতো ছোট ও পাতলা আকারের ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ যুক্ত থাকবে। এই চিপ পাসপোর্টের একটি বিশেষ পাতার ভেতরে থাকবে। এই পাতা সাধারণ পাতার চেয়ে মোটা হবে। চিপে সংরক্ষিত বায়োমেট্রিক তথ্য বিশ্লেষণ করে পাসপোর্ট বহনকারীর পরিচয় শনাক্ত করা যাবে। এতে করে একজনের নাম–পরিচয় দিয়ে অন্য নামে পাসপোর্ট কেউ করতে পারবে না। এই পাসপোর্ট নকল হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না। সাধারণ পাসপোর্টের তুলনায় ই–পাসপোর্টে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যও থাকছে বেশি। এতে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে, যার অনেক বৈশিষ্ট্য থাকবে লুকানো অবস্থায়। ই–পাসপোর্ট করার সময় মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) ডেটাবেইসে পাওয়া তথ্যগুলো ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।
আগামীনিউজ/শাই/এনএ