শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ

আগামী নিউজ ডেস্ক নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০৯:২৮ এএম

ঢাকাঃ আজ ২৭ নভেম্বর, শহীদ ডা. মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে চিকিৎসক নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। মিলনের আত্মদানের মধ্য দিয়ে সেদিনের স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। অবশেষে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এইচ এম এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। সেই থেকে প্রতি বছর ২৭ নভেম্বর শহীদ ডা. মিলন দিবস পালন করা হচ্ছে। 

ড. মিলন চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এবং ঢাকা কলেজের বায়োকেমিস্ট বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ ডা. মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।

ডা. মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের নানা কর্মসূচি নিয়েছে।

এ উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় দলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি পালন করবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ ভোর ৬ টায় দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজস্থ শহীদ ডা. মিলনের সমাধি ও সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি সংলগ্ন শহীদ ডা. মিলন সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিএমএসহ বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভা।

ডা. মিলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তখন নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত হয়। পরে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই সময়ের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বুইউ