ঢাকাঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কোনোভাবেই হ্যাকিং করা সম্ভব নয়। কারণ এটার সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ নেই। এটা নিয়ে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) জাকের পার্টির সাথে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এ তথ্য জানান। এর আগে, পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসির সাথে সংলাপে অংশ নেয়।
সংলাপে জাকের পার্টি ইভিএম পদ্ধতিতে কারচুপির অভিযোগ তুলে দলটি ব্লকচেইন টেকনোলজি এবং ই-ভোটিং চালুর প্রস্তাব করেন।
তাদের প্রস্তাবের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেইনি, কিন্তু হ্যাকিংটা সম্ভব নয়। হ্যাকিংটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ, এটি স্ট্যান্ড এলোন সিস্টেম। এটি ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত নয়। এটাকে বহুভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে পরীক্ষা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাইরে অনেক কথাই চাউর আছে যে এটা হ্যাকিং হতে পারে বা এটাতে ভোট চুরি হতে পারে। কিন্তু আমরা এ পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনও এভিডেন্স পাইনি। বিষয়টি কেবল অবহিত করছি। আমরা ইভিএমের ওপর কোনও কাজ করি না। যাতে কোনও অপপ্রয়োগ সম্ভব না নয় সেটা নিশ্চিত করে তারপর ইভিএমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
সিইসি বলেন, আমরা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এটা অর্জন করতে হলে সকলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এজন্য সব দলের সক্রিয় সহায়তা চাই। কারণ, নির্বাচনের মাঠকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সব পার্টিকে থাকতে হবে। সবাই যদি থাকেন তাহলে নির্বাচনের মাঠে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। তখন আমাদের কাজটি কমে যায়। রাজনৈতিক দলগুলো একটি ভারসাম্য সৃষ্টি করতে পারে।
জাকের পার্টিতে তরুণ নেতৃত্ব থাকার প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, তরুণরাই নতুনত্ব সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, তাদের মেধাটাও তরুণ থাকে। আমাদেরটা কিন্তু অলরেডি বোর হয়ে গেছে। কাজেই তরুণদের উদ্দীপ্ত করতে হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন হবে সার্বিকভাবে একটি অনুকূল পরিবেশে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে যে পরিবেশে... এটা মাঝে মাঝে বিতর্কিত হয়ে যায়। পরিবেশটি আমরা অনুকূল করতে পারলে ভোটাররা নিরাপদ ও আস্থাশীলভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে।
এমবুইউ