ঢাকাঃ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি গবাদিপশু কোরবানি করা হয়েছে। সোমবার (১১ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান সারাদেশে কোরবানি হওয়া প্রায় কোটি পশুর তথ্য।
এদিকে আজও দেশের বিভিন্ন এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো পশু কোরবানি হচ্ছে। এই সংখ্যা এখনো হিসেবে আসেনি।
এদিকে অনলাইন প্লাটফর্ম ‘ডিজিটাল পশুর হাট’-এ মোট ৭৩০ কোটি টাকার পশু বিক্রি হয়েছে। গত ১০ জুলাই (ঈদের আগের দিন) পর্যন্ত এই প্লাটফর্মে আঞ্চলিক হাটের ৫৯ হাজার ৪৮১টি এবং খামারিদের ১৭ হাজার ৫০২টি পশু বিক্রি হয়।
জানা গেছে, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ডিজিটাল হাটের ওয়েবসাইটে ২১ লাখ ৬ হাজার ৮৪২টি হিট পড়েছে। আঞ্চলিক হাটের ৫৮৭ কোটি ও খামারিদের ১৪৩ কোটি টাকার পশু বিক্রি হয়েছে। সবমিলে ডিজিটাল হাটে ৭৩০ কোটি টাকার পশু বিক্রি হয়েছে।
গত ২০২১ সালে কোরবানিতে পশু জবাই হয়েছিল ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি। এর মধ্যে গরু/মহিষ ছিল ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৯টি এবং ছাগল/ভেড়া ছিল ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৮টি। এছাড়াও অন্যান্য পশু জবাই হয় ৭১৫টি।
সে হিসেবে এখন পর্যন্ত গতবারের চেয়ে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৫২১টি। অনেকে মনে করছেন দ্বিতীয় দিনের কোরবানির পর কেউ যদি তৃতীয় দিনও কোরবানি করেন তাহলে সব মিলে ১ কোটি ছাড়াতে পারে।
এদিকে, এক কোটি বা একটু বেশি পশু কোরবানি হতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা কোরবানির আগেই জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহাজাদা।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর তথ্যমতে এবারো পর্যাপ্ত দেশি পশু ছিল কোরবানির জন্য।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের খামার শাখার উপপরিচালক জিনাত সুলতানা বলেন, এ বছর আমাদের কোরবানিযোগ্য পশু সংখ্যা ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি। যার গতবারের চেয়ে প্রায় দুই লাখের বেশি ছিল। ৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৩২টি খামারের তথ্য অনুযায়ী এ পরিসংখ্যান দেওয়া হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের খামার বিভাগের তথ্যমতে, প্রশিক্ষিত খামারিদের কাছ থেকেই আসে ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৪২টি পশু আর বাকি ৪৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৭টি কোরবানিযোগ্য উৎপাদিত পশু গৃহপালিত হিসেবে প্রস্তুত ছিল কোরবানির জন্য।
অন্যদিকে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে শনিবার (৯ জুলাই) রাত ১১টা থেকে আজ (১১ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে নয় হাজার মেট্রিক টন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এসব বর্জ্য মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মোট দুই হাজার ৩৭০টি ট্রিপের মাধ্যমে বর্জ্য স্থানান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করে ডিএসসিসি। পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৫১ মেট্রিক টন বর্জ্য স্থানান্তর সম্পন্ন হয়েছে।
এমবুইউ