ইভিএম যাচাই-বাছাইয়ে নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলকে ডাকছে ইসি

ডেস্ক রিপোর্ট জুন ৮, ২০২২, ১১:৪০ এএম

ঢাকাঃ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দেখতে অথবা যাচাই-বাছাই করতে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, আগামী ১৯ জুন থেকে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে ইভিএম যাচাই করে মতামত দেওয়ার জন্য ডাকা হবে। তিন ভাগে প্রতিদিন ১৩টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।

ক্ষমতাসীন দল ছাড়া বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মধ্যেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইভিএমে জাতীয় নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়ার পর এটি যাচাই-বাছাই করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলে ইসি। 

যদিও ইসির কাছে থাকা ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম দিয়ে ৩০০ আসনে একসঙ্গে নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। 

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ১৯ জুন জাতীয় পার্টিসহ ১৩টি দল, ২১ জুন বিএনপিসহ ১৩টি দল ও ২৬ জুন আওয়ামী লীগসহ ১৩টি দলকে ডাকা হবে।

প্রতিটি দল তাদের প্রতিনিধি/কারিগরি টিমের পাঁচ জন করে সদস্য পাঠাতে পারবে। দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই চিঠি পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইভিএম সংক্রান্ত ওই বৈঠকগুলোতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এনআইডি উইং, ইভিএম প্রকল্প পরিচালক, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ও ইসির আইটি টিমসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন। 

২০১১ সালে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোটগ্রহণ চালু করে।

জানা গেছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত সবার মতামতের ভিত্তিতে নেবে ইসি। ইতিমধ্যে প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত নিয়েছে কমিশন।

যদিও প্রথম দিকের বৈঠকে ইভিএম নিয়ে দেওয়া বক্তব্য থেকে শেষ বৈঠকে কিছুটা ভিন্নমত দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। তারা বলেছেন, ইভিএম ম্যানুপুলেট করার সুযোগ নেই। 

কমিশন বলছে, সবার মতামত পর্যালোচনা করেই ইভিএমের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত ২৫ মে সিইসি বলেন, আমরা ইভিএম নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা ৩০০ আসনে করব, নাকি ১০০ আসনে করব, নাকি মোটেই করব না- আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে দ্যান উইল বি কামিং ইন এ পজিশন টু ডিসাইড। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত নেব।

আগামী সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আগের ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এমবুইউ