পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাবে বিশ্বব্যাংক: কাদের

জুন ৪, ২০২২, ০৩:২৪ পিএম

ঢাকাঃ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানে বিশ্ব ব্যাংককেও দাওয়াত দেওয়া হবে। এছাড়া দেশের সকল বিরোধী, ডান-বামসহ সবাই দাওয়াত পাবেন। কারণ এটি জাতীয় অনুষ্ঠান।

শনিবার (৪ জুন) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কে সরকারের পক্ষে আর কে বিপক্ষে তা দেখব না। রাজনৈতিকভাবে যারা বিরোধিতা করেছে, তাদেরও আমন্ত্রণ জানাবো, চিঠি পাঠাব।’

২০১০ সালে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে বিশ্বব্যাংক। অভিযোগটি ছিল- কানাডার একটি কোম্পানি এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সেখানে বলা হয়- দুর্নীতির মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পরে সেই অভিযোগের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক তাদের ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তবে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ। যা আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন করা হবে। সেদিন বিদেশিদের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘২৫ জুনের প্রস্তুতি শুরু করেছি, বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানাবো। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরকেও আমন্ত্রণ জানাবো।’ এ সময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সেই মিয়াং টেমবন ওবায়দুল কাদেরের পাশেই বসা ছিলেন।

‘সড়কে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা নেই’ উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নানা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় গণপরিবহনে ডিসিপ্লিন নেই। ডিসিপ্লিন না থাকলে উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল আসবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনের নামে রাস্তার ভাষায় কথা বলে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তারা বলছে, পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি করবে। দেশে-বিদেশে এধরনের বক্তব্য যে তারা দিচ্ছিল, আমি বলেছিলাম- ফখরুল সাহেব, আপনি দলের মহাসচিব। আপনার দলের এই তরুণ তুর্কিদের সামলান। এই ধরনের স্লোগান দিলে হত্যা ও রাজনীতির পরিণাম হবে ভয়াবহ। আমি ফখরুল সাহেবকে বলেছি এভাবে চলতে থাকলে পরিণতি কী হবে তা দেখতে পাবেন। পরিণতি কার খারাপ হবে সেটা বাস্তবেই দেখতে পাবেন।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বিএনপির সমলোচনার জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির কিছু নেতা আবোলতাবোল বকছেন, তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাথা খারাপ হয়েছে কারণ পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলকে তারা সহ্য করতে পারছে না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিড তারা জীবনে দেখেও নাই, করেও নাই। শেখ হাসিনা করছে, এজন্য তাদের বুকে ব্যথা। এই ব্যথার জ্বালায় জ্বলছে। এসব কথার মূল্য নেই, তারা হিংসায় এসব উদ্ভট কথা বলছে।’

এমবুইউ