তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে: সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৯, ২০২২, ০৩:১২ পিএম

ঢাকাঃ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে তেলের দাম বেড়েছে বলে স্বীকার করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মন্ত্রণালয় থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেবার কারণে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফ এমপির এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপত্বি করছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, চাহিদা নির্ণয়, মজুদ পরিস্থিতি, ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল’ এটা মনিটরিং করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২৮টি মনিটরিং টিম বাজার দাম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। টিসিবির তরফে ঢাকাসহ সারাদেশে ৩ হাজার ডিলারের মাধ্যমে নায্যমূল্যে ট্রাক সেল চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, আসন্ন রমজান উপলক্ষে সারাদেশের এক কোটি নিম্ম আয়ের মানুষকে রমজান শুরুর আগে গত ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিত্যপণ্য বিক্রি করা হবে এবং দ্বিতীয় বার ৩ এপ্রিল থেকে আবারো টিসিবির তরফ থেকে নিত্যপণ্য বিক্রি করা হবে।

এমপি মোহম্মদ এবাদুল করিমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি জানান, বাংলাদেশের ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে মোট রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার ৩৬৭ দশমিক ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসময়কালে দেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১৬.২৪২.০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এমপি লুৎফুন নেসা খানের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল, যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে ভারতে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৫১২ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২০-২০২১ সালে বেড়ে পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১২৭৯ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এমপি লুৎফুন নেসা খানের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল, যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে ভারতে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৫১২ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২০-২০২১ সালে বেড়ে পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১২৭৯ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু বলেন, বর্তমান সরকার বাণিজ্য সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও অগ্রাধিকার বাণিজ্য স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চীনের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়া যাবে।

এমপি মোকাব্বির খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্বের ২০টি দেশে বাংলাদেশের ২৩টি বাণিজ্য মিশন রয়েছে। যেগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, চীন (বেনজিং), চীন (কুনমিং), ফ্রান্স, জার্মানী, ভারত (দিল্লী ও কলকাত), ইরান, জাপান, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র (ওয়াশিংটন ও লসএঞ্জেলস), যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। তবে এ দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটির পরিমাণ ৭৬৪৭.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এমএম