রুশ হামলায় ক্ষতি ১০ হাজার কোটি ডলার: দাবি ইউক্রেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ১১, ২০২২, ০৮:১৬ এএম

ঢাকাঃ দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের অন্তত ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ওলেগ উস্তেনকো এই তথ্য দিয়েছেন।

তিনি বলেন, চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের বহু স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৫০ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকস আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই দাবি করেন ওলেগ উস্তেনকো।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে নামেন রুশ সেনারা। অভিযানের ১৬তম দিনে এসে দুই পক্ষের কয়েক শ মানুষ হতাহত হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধে দেশ দুটি চার দফা বৈঠক করলেও এখনো কোনো আলামত দেখা যায়নি।

হামলার পর বেলারুশে তিন দফা বৈঠক করে দেশ দুটি। এসব বৈঠকে কোনো ফলাফল আসেনি। যুদ্ধ বন্ধে গতকাল বৈঠকে বসেন দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এতে মধ্যস্থতা করেন। কিন্তু গতকালেও বৈঠকেও কোনো সুরাহা হয়নি।

এর আগে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালে দেশটির ৬টি অঞ্চলে খণ্ডকালীন যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নেয় রাশিয়া। সেই সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কয়েকটি মানবিক করিডর খুলে দেওয়ার বিষয়ে একমত হয় রুশ প্রতিনিধিদল।

রুশ অভিযান শুরুর আগে পশ্চিমা বিশ্বকে ইউক্রেনের পাশে থাকার কথা বলতে শোনা গেলেও হামলার পর পুতিন বাহিনীকে আটকাতে সক্রিয়ভাবে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।

কিয়েভকে সামরিক সহায়তা আর মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মধ্যেই সীমিত আছে তাদের পদক্ষেপ। এতে পরিস্থিতি তো বদলাচ্ছেই না, উল্টো আরও বেড়েই চলছে প্রাণহানি আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।

জেলেনস্কির প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ওলেগ উস্তেনকো জানান, রুশ হামলায় ইউক্রেনের রাস্তাঘাট, সেতু, হাসপাতালসহ নানা স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদ পুনর্নির্মাণের অর্থ কোথা থেকে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওলেগ উস্তেনকো বলেন, আংশিক অর্থ আসতে পারে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জব্দ হওয়া রাশিয়ার সম্পদ থেকে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়ার বাইরে আটকা পড়া দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ। এছাড়া রাশিয়ার ধনকুবের ব্যবসায়ীদের জব্দ হওয়া সম্পদগুলোও ইউক্রেনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজে আসতে পারে বলে জানান তিনি।

এমবুইউ