মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম জোরদার করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

ডেস্ক রিপোর্ট ডিসেম্বর ১০, ২০২১, ০৮:৪৪ এএম
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ

​​​​​​ঢাকাঃ তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত মানবাধিকার কমিশনের সামগ্রিক কার্যক্রম আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০০৯ সালে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। জনসাধারণ যেন তাদের অধিকার সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন হতে পারে এবং মানবাধিকার বিষয়ে কমিশনের কাছ থেকে সহায়তা পেতে পারে সে লক্ষ্যে কমিশনকে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি।

‘মানবাধিকার দিবস ২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, সব প্রকার বৈষম্য দূর করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমতার সমাজ গঠনের এখনই সময়। এ প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বৈষম্য ঘোচাও সাম্য বাড়াও মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সব মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। বাংলাদেশের সংবিধান জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকারের সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ। মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০০৯ সালে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করে।

এ বছর দিবসটি উদযাপনের পাশাপাশি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক রচনা প্রতিযাগিতা আয়োজন এবং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মানবাধিকার বৃত্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় রাষ্ট্রপতি মানবাধিকার কমিশনকে ধন্যবাদ জানান।

শিশুদের শৈশব থেকেই মানবাধিকার চর্চার জন্য ‘মানবাধিকার কোর্স’ চালু কমিশনের একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কমিশনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল ইনকোয়ারি হচ্ছে, যা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আগামীনিউজ/বুরহান