ঢাকাঃ দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ টিকাদান কেন্দ্রে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মহামারীর দেড় বছর পর এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের মাঝে পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হয়। পরীক্ষামূলক টিকায় কোনও সমস্যা না হওয়ায় এবারে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা পাবেন।
টিকা পেতে স্কুল শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। তারপর মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে টিকা নেওয়ার তারিখ ও টিকাদান কেন্দ্রের নাম জানানো হবে। টিকা নেওয়ার সময় টিকা কার্ড প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি সোমবার স্কুল শিক্ষার্থীদের এই টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহায়তায় ঢাকায় আটটি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার অন্য সব স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে।
এগুলো হল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমণ্ডির কাকলী স্কুল, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল।
এসব কেন্দ্রের প্রতিটিতে ২৫টি করে বুথ থাকবে। যেখানে ওই কেন্দ্রের পাশাপাশি অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীরাও টিকা নিতে পারবেন। তবে এ জন্য অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং টিকা কার্ড নিয়ে আসতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, টিকা নেওয়ার পর কোনো শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে ঢাকার বাইরে ২২টি জেলায় টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। তাদের কারও কোনো সমস্যা না হওয়ার পর স্কুলশিশুদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
আগামীনিউজ/নাসির