প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি, সেতু পাচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির শীর্ষেন্দু

নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১, ১২:১৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে স্কুল ছাত্র শীর্ষেন্দুর। পাঁচ বছর আগে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জের উপর দিয়ে প্রবাহিত পায়রা নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন তখনকার সময়ে চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ুয়া শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পায়রাকুঞ্জ পয়েন্টে সেতু নির্মাণের। 

সেই সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। টেন্ডার হয়ে গেছে, চলছে মূল্যায়ন। আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হবে, এমনটাই জানালেন সেতু বিভাগের সচিব ও সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক। 

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সেতুর নির্মাণস্থল পায়রা নদী এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি জানান, ঝালকাঠীর কচুঁয়া-বরগুনার বেতাগী-পটুয়াখালী  ১৭ কিলোমিটার সড়কের পায়রাকুঞ্জ পয়েন্টে পায়রা নদীতে এক হাজার ৬৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু নির্মিত হতে যাচ্ছে। এতে মির্জাগঞ্জ উপজেলা সদরের সাথে জেলা শহর পটুয়াখালী, রাজধানী ঢাকা ও বরগুনার সাথে নিরবিচ্ছিন্ন ও ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।

তিনি জানান, এক স্কুলছাত্রকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত অগ্রাধিকার প্রকল্প এটি। এর সুফল ভোগ করবে এ অঞ্চলের মানুষ। 

সেতু বিভাগ  সূত্রে জানা যায়, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, জমি অধিগ্রহণ, টেন্ডার প্রক্রিয়া ও কনস্যালটেন্সি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর প্রাথমিক ডিজাইন অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ-এর শ্রেণি বিন্যাস অনুযায়ী এই রুটটি প্রথম শ্রেণির হওয়ায় নৌযানের চলাচল সুবিধার্থে সেতুর ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ধরা হয়েছে ১৮ দশমিক শুন্য তিন মিটার। সেতুর মোট দৈর্ঘ্য হবে এক হাজার ৬৯০ মিটার। এর মধ্যে মাঝের একশ মিটার দৈর্ঘ্যের ৯টি স্প্যান, উভয় প্রান্তে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি স্প্যান এবং ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২৩টি স্প্যান থাকবে। সেতুর প্রাথমিক ব্যায় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪২ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মিত হলে পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে এটি হবে দ্বিতীয় সেতু। 

পায়রাকুঞ্জ পয়েন্টে পায়রা নদীতে সেতু নির্মাণের দাবিতে ২০১৬ সালের ১৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি লেখেন পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। বর্ষার মওসুমে তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠীর ছয়আনীতে যেতে ট্রলারে প্রমত্তা পায়রা নদী পারাপারের দুর্ভোগ ও ঝুঁকির কথা চিঠিতে তুলে ধরে শীর্ষেন্দু। ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী সেই চিঠির জবাবে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। পরবর্তীতে সেই চিঠিটি শীর্ষৈন্দুর কাছে ২৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

আগামীনিউজ/নাসির