ঢাকাঃ রাশিয়ার জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। ৭ দিনের সফরে তিনি সেখানে যাচ্ছেন। তার সফরসঙ্গী রয়েছেন একান্ত সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৩ ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
রাশিয়ার জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। ৭ দিনের সফরে তিনি সেখানে যাচ্ছেন। তার সফরসঙ্গী রয়েছেন একান্ত সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৩ ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির যুগ্ম সচিব মো. আবুল কাসেম। তিনি বলেন, কোনো অসুবিধা হয়নি। সময় মতো প্লেন ছেড়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের কাছে ইসির সেবা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শামসুল হক ফৌজদারের পাঠানো এক চিঠি থেকে জানা গেছে, তারা ২২ সেপ্টেম্বর এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটে বিকেল সাড়ে ৫টায় ফিরবেন।
রাশিয়ার জাতীয় সংসদ রাশিয়ান ফেডারেল অ্যাসেম্বলির নিম্নকক্ষ ‘স্টেট দুমা’-এর ভোট পর্যবেক্ষণ করতে দেশটিতে সাতদিন থাকবেন সিইসি। স্টেট দুমা নির্বাচনেও যন্ত্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। তবে সেখানে বাংলাদেশের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয় না। সেখানে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিস্টেমে (অপটিক্যাল স্ক্যান ভোটিং মেশিন) ভোট হয়। ১৯৯৫ সালে প্রথম নিম্নকক্ষের নির্বাচনে এ যন্ত্রে ভোট নেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও ভোটিং মেশিন ব্যবহার করেছে রাশিয়া, তবে তা নয় শতাংশ ভোট কেন্দ্রে। বাংলাদেশ অবশ্য আগামী সংসদ নির্বাচনের অধিকাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছে।
১৭ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন সিইসি। এরপর অন্যান্য কাজ সেরে দেশে ফিরবেন।
গত ১৯ আগস্ট চিফ অ্যাকউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স অফিসারকে সিইসির সফর সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ইসির উপ-সচিব মো. শাহ আলম।
এতে বলা হয়েছে- এটি একটি অফিসিয়াল সফর। এ সময় তারা সব ভাতা পাবেন দেশীয় মুদ্রায়। থাকা-খাওয়া এবং স্থানীয় যাতায়াত ব্যয়ভার বহন করবে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন। তবে বিমান ভাড়া বহন করবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।