বৃষ্টি আর উজানে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে দেশের উত্তরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। ফলে নিম্ন অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়ছে এসব এলাকার মানুষ। নীলফামারীতে তিস্তার পানি বাড়া-কমার খেলায় ভোগান্তিতে পড়েছে ডিমলা উপজেলার পাঁচ হাজার পরিবার। কুড়িগ্রামে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের ১০ হাজার মানুষ। ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
খুব একটা বৃষ্টি না হলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা। এই পানির কারণে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। আরো একাধিক নদীর পানি আজই বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এর মধ্যে ছয় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা তিস্তার পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে এবং যমুনা নদী আরিচা পয়েন্টে আত্রাই নদী বাঘাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।