ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিধি-নিষিধ বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনলাইনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিধি-নিষিধের ব্যাপারে নতুন এ সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে পর্যায়ক্রমে সীমিত সংখ্যক যানবাহন ও রেল চলবে। ১১ তারিখ থেকে যথারীতি অফিস চলবে। তবে, পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
‘তবে সব একত্রে না। আমরা লোকাল এডমিনিস্ট্রেটরকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অনুরোধ করবো, বাই রোটেশনে যাতে চলে। ’
উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, মনে করেন, গাজীপুর থেকে ১শ গাড়ি আসে প্রতিদিন ঢাকায়। ১শ না এসে ৩০টি আসুক বা ৫০টি আসুক। আজকে এগুলো যাবে কালকে অন্যগুলো যাবে। এভাবে তারা নির্ধারণ করে দেবে। শ্রমিক, পরিবহন নেতা এবং যারা পরিবহনের মালিক, তাদের সঙ্গে সঙ্গে বসে ঠিক করবে।
'লঞ্চ, স্টিমার আছে, রেল আছে, সেগুলোও চলবে। সব যে পরিমাণে অতীতে চলেছিল, সে পরিমাণ না চলে সীমিত আকারে কর্তৃপক্ষ সেগুলো নির্ধারণ করে জনগণকে অবহিত করবে। যেমন রেল হয়তো ১০টা চলতো, এখন ৫টা চলবে। কোনো কোনো সময়ে কোনোটা ছাড়বে এবং কীভাবে যাবে, এগুলো স্ব-স্ব মন্ত্রণালয় ও ডিপার্টমেন্ট জনগণকে অবহিত করবে, যাতে করে কোনো গ্যাপ না থাকে।
সভায় ১২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। তা শেষ হবে ৫ আগস্ট মধ্যরাতে। এরই মধ্যে গত ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কঠোর বিধি-নিষেধ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।