ঢাকাঃ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১২৫ জনে। এর আগে করোনায় এক দিনে এত মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশ।
এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩২১ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩১০ জনে।
সোমবার (১৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৩৮টি পরীক্ষাগারে ৪৫ হাজার ১২টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩১০ জন আর মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ১২৫ জনের। সর্বশেষ ৯ হাজার ৩৩৫ জনের সুস্থতায় এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হওয়া কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৩ জন। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯দশমিক ৫৯ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক শূন্য ৩০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ২৫ ও মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৭৩ জন। এছাড়া খুলনায় ৫৭, চট্টগ্রামে ৪৩, রাজশাহীতে ১৬, বরিশালে ৬, সিলেটে ৮, রংপুরে ১৭ এবং ময়মনসিংহে ১১ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩৬ জন পুরুষ এবং ৯৫ জন নারী। মৃতদের ১৬৭ জন সরকারী হাসপাতালে, ৪৬ জন বেসরকারী হাসপাতালে এবং ১৮ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন । এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৫৫০ জন এবং নারী ৫ হাজার ৫৭৫ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে , গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩৯ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৩, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩৩, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৯, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন।
দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের মার্চে। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণের হার ওঠানামা করলেও গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে দেশে মহামারী পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে গত ৮ মে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (ভারতীয় ধরন) সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। শক্তিশালী করোনার এ ধরনটির কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (গোষ্ঠীগত সংক্রমণ) শুরু হয় গত মাসের শুরুর দিকে। দেশে মহামারী পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার নেয়ার পেছনে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকেই সবচেয়ে বেশি দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।