ঢাকাঃ কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথম দিন দেশের দুই নৌরুট মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া এবং দৌলতদিয়া পাটুরিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের ঢল নেমেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা এই দুই ঘাটে উপস্থিত হচ্ছেন। এতে বাড়তি যানবাহনের চাপ পড়ায় পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে।
আজ সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রীর চাপ ও গাদাগাদি কিছুটা কমেছে। তবে লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও অধিক যাত্রী নিয়েই সেগুলো চলাচল করছে।
অন্যদিকে গণপরিবহন চালু হওয়ায় ঘাটে আসতে সড়ক পথে যাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নৌরুটে ১০টি ফেরি ও ৭৮টি লঞ্চ চলাচল করছে।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আগেই বাড়ির পানে ছুটছেন তারা।
অন্যদিকে আজ সকাল থেকে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরি গুলোতে যাত্রী চাপ ও গণপরিবহন, গরুবাহী, পণ্যবাহী ট্রাক, ব্যক্তিগত যানবাহনসহ ৫ শতাধিক যানবাহনের যানজট দেখা যায়। আজ এ নৌরুটে ১৭টি লঞ্চ ও ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।
তবে ফেরিগুলোতে যাত্রীদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। গণপরিবহণ ও লঞ্চ চালু করায় যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা কমলেও যানজটে পরে ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে ঢাকাগামী এসব যানবাহনের। তবে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে যাত্রীদের।
দৌলতদিয়া বিআইডাব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম জানান, ঈদের দিন ঘনিয়ে আসায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন ও যাত্রীদের পারাপার বেড়েছে। তবে গণপরিবহন চালু থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ৫ শতাধিক যানবাহনের জট থাকতে দেখা গেছে।