ডেস্ক রিপোর্টঃ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার (২৬ মে) বিকেল ৩টা নাগাদ ডামরার উত্তর এবং বালাশোরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করেছে।
বুধবার (২৬ মে) বিকেলে ইয়াস সম্পর্কিত ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আরও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সম্পর্কে এই সিরিজের আর কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে না।
সেখানে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে উপকূলীয় উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘যশে’র গতিপথ পাল্টে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতি জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসে দেশের উপকূলীয় ৯ জেলার ২৭ উপজেলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভোলা ও বরগুনায় দুই একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে সার্বিক ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর। এর মধ্যে ভোলার লালমোহন উপজেলায় গাছচাপায় আবু তাহের (৪৯) নামে একজন মারা গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- শ্যামনগর, আশাশুনি, কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, শরণখোলা, মোংলা, মোরেলগঞ্জ, মঠবাড়িয়া, বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, পটুয়াখালী সদর, গলাচিপা, রাঙ্গাবালী, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, কলাপাড়া, চরফ্যাশন, মনপুরা, তজুমদ্দিন, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, ভোলা সদর, হাতিয়া, রামগতি ও কমলনগর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১৪ জেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব পড়েছে বলে আমরা জেনেছি।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় ৯টি জেলার ২৭টি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দিতে সাড়ে ১৬ হাজার শুকনা ও নরম খাবারের প্যাকেট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে এগুলো বিতরণের কার্যক্রম চলবে।