রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টাকার জন্য আটকে আছে। আমরা টাকার দেওয়ার অঙ্গীকার করতে পারিনি। অনেক টাকা !
সাংবাদিকরা অর্থায়নের পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক আলোচনায় প্রতি বছর ৬০০ মিলিয়ন করে ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ভাষাভাষীর দিক থেকে বাংলা পঞ্চম বৃহত্তম ভাষা। প্রায় ২৭ কোটি লোক এই ভাষায় কথা বলে। তাই বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কোন আপত্তি নেই।
একসময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করে আসা পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন আরো বলেন, তারা বলেছে, জাতিসংঘের সৃষ্টির সময় প্রথমে ৫টি ভাষাকে দাপ্তরিক ভাষা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এর সঙ্গে আরবী ভাষা যুক্ত হয়। জাতিসংঘ বলছে, তোমাদের বাংলা চালু করলে তো খরচ হবে, খরচটা কে দিবে ? তোমরা যদি দাও তাহলে তোমরা সদস্য রাষ্ট্রকে বলো, তাহলে অসুবিধা নাই।
তিনি বলেন, জাপানি, হিন্দি ও জার্মান ভাষার জন্যও প্রস্তাব করা হয়েছিল। একই কারণে সেগুলোও দাপ্তরিক ভাষা হয়নি।
দাপ্তরিক ভাষা চাওয়ার এই প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘে বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে কিছু সাফল্য পাওয়ার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, তারা বলছে, তোমরা আসো টাকা নিয়ে। আমরা বলেছি, এখানে আমাদের ইমোশন জড়িত, আমাদের চেতনার বিষয়। এসব বিষয় বলার পরে কিছুটা সুবিধা হয়েছে। আমরা এখন একটা বাংলা রেডিও পেয়েছি, প্রত্যেক সপ্তাহে অনুষ্ঠান করে। এশিয়ার উপর ইউএনডিপির যে রিপোর্টটা হয়, সেটা তারা ইংরেজির সঙ্গে বাংলাও করে, তাদের পয়সায়। আমরা অতিরিক্ত পয়সা দিই না।
দাপ্তরিক ভাষা করার প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আশা একদিন না একদিন, আমরা আরও ধনী হব, বাংলার প্রতি মানুষের নজর বাড়বে।
আগামীনিউজ/এসডি