ঢাকাঃ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘিরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কেন্দ্রিক তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, সুনির্দিষ্ট কোনও হুমকি নেই। তারপরও জঙ্গি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারি রাখা হবে।
আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে আমরা এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে যাচ্ছি। চারিদিকে করোনা পরিস্থিতি, ভ্যাকসিনেশন চলছে, তাতে ভীতি রয়েছে। একজন ব্যক্তিও মাস্ক ছাড়া শহীদ মিনারে প্রবেশ করতে পারবেন না। দল পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে দুজনের বেশি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ মিনার এলাকায় যান চলাচল বরাবরের মতো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বলতে পারি তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও থাকবেন। শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হবে। এজন্য ডিএমপি কন্ট্রোল রুম থেকে তা মনিটরিং করা হবে। পাশাপাশি বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াটসহ অন্যান্য ইউনিটগুলো সক্রিয় থাকবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ঘিরে জঙ্গি কার্যক্রমের ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছে কীনা, জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, সাধারণত এ ধরনের দিবসগুলো উপলক্ষে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য জঙ্গিরা ছোট ঘটনা ঘটিয়ে হলেও দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। থাকে। শহীদ দিবস বাঙালির আবেগের একটি বড় জায়গা। এখানে ছোট্ট একটি ঘটনা ঘটাতে পারলেও আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। জঙ্গি কার্যক্রম বা গতিবিধি নজরদারির জন্য আমাদের সাইবার ইউনিটগুলো সক্রিয় রয়েছে। আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি আছে। আমরা মনে করি না। এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটানোর সাহস তারা পাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্টার টেরোরিজম প্রধান ও ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, গোয়েন্দা প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃঞ্চপদ রায়সহ পুলিশে অন্য কর্মকর্তারা।
আগামীনিউজ/প্রভাত