ঢাকাঃ রোহিঙ্গাদের জোর করে ভাসানচরে পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷
চরটি বসবাসের জন্য এখনো নিরাপদ নয় এবং রোহিঙ্গারা সেখানে যেতে চায় না বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি৷
অ্যামনেস্টি বলছে, বাংলাদেশ সরকার চলতি মাসে তিনশ' থেকে চারশ' রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে বসাবসের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি শেষ করেছে৷ পরিকল্পনা অনুসারে, ভাসানচরে যাওয়ার বিষয়টি নিজেদের ইচ্ছাধীন হওয়ার কথা, অর্থাৎ যেসব রোহিঙ্গা নিজেদের ইচ্ছায় চরটিতে যেতে চাইবে তাদেরকেই পাঠানো হবে৷
কিন্তু ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তারা জোর করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যেতে নিবন্ধন করিয়েছে বলে শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে সংগঠনটি৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া প্রধান বলেন ওমার ওয়ারাইখ এই বিষয়ে বলেন, ‘‘চরটি বসবাসের জন্য নিরাপদ নয়৷ তাছাড়া স্থানান্তর প্রক্রিয়াও প্রশ্নবিদ্ধ৷ আমরা যেসব রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেছি তাদের অনেকেই সেখানে যেতে স্বেচ্ছায় সম্মতি দেয়নি৷’’
Bangladesch will Rohingya auf unbewohnter Insel ansiedeln
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করা ঘর
স্থানান্তর করা হবে এমন একজন রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধৃত করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, অনেকেই বাধ্য হয়ে সেখানে যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন৷ সেই নারী দাবি করেছেন যে তিনি সেখানে যাওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে নিবন্ধন করেছেন কেননা তার স্বামী সেখানে রয়েছে৷ অ্যামনেস্টিকে তিনি বলেন, ‘‘সেখানে থাকা খুব কষ্টের৷ আমার মনে হচ্ছে সরকার আমার স্বামীকে চর থেকে ফিরতে দেবে না৷ তাই আর কোন উপায় নেই আমার৷''
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা' আনার পাশাপাশি নতুন কাউকে সেখানে না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ পাশাপাশি ইতিমধ্যে চরটিতে স্থানান্তর করা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি৷
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে ২০১৭ সালে দেশটির রাখাইন অঞ্চল থেকে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷
আগামীনিউজ/প্রভাত