ঢাকাঃ দীর্ঘ ২২দিন বন্ধ থাকার পর- সাগর থেকে আবারও মাছ ধরে ফিরেছেন জেলেরা। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এখন মাছ খালাসের ব্যস্ততা।
সাময়িক বন্ধ থাকার পর প্রতিবারই মাছ বেশি পায় বলে জানান জেলেরা। তাদেরই একজন এফবি আল্লাহর দানের মাঝি বশির আহমদ। ইলিশ মাছ কম পেলেও অন্যান্য মাছ বেশি পেয়েছেন তিনি।এইমাত্র মাছ বিক্রি শেষ করলেন এফভি ইপসা নামক ফিশিং বোটের মালিক মোহাম্মদ হৃদয়। এবার এক লাখ টাকা লাভ হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইলিশের প্রজনন সময় হিসেবে এবার ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময়টি- নির্ভুলভাবেই নির্ধারণ হয়েছিল। এরকম প্রজনন মৌসুমগুলোতে মাছ ধরা বন্ধ রাখলে সাগরে বেড়ে যাবে মাছের প্রাচুর্যতা। কক্সবাজার মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, এবারের ইলিশের প্রজনন সময় নির্ধারণ সুনিপুণ ছিল। ১৪ অক্টোবরের আগে ডিমওয়ালা ইলিশ পাওয়া গিয়েছিল। আর ৪ নভেম্বরের পর যেসব মাছ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো ডিম ছাড়া অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে। কাজেই এভাবে যদি প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখা যায়, তাহলে এর সুফল পাওয়া যাবে।নিষিদ্ধ সময়ে বাজারে হিমায়িত মাছের সরবরাহ থাকলেও বিপাকে পড়েন মাছ ধরার কাজে সংশ্লিষ্ট অনেকেই। ঋণের জালে আটকে গেছেন খুচরা মাছ বিক্রেতা মোহাম্মদ ফারুক। তাকে এবার মহাজনের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে নতুন করে ব্যবসায় নামতে হয়েছে।
সাধারণ জেলেরা জানিয়েছেন, সবসময় তাদের উচ্চসুদে ঋণ নিতে হয় মহাজনের কাছ থেকে।কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ম্যানেজার মোঃ এহছানুল হকের মতে, এই দাদন প্রথা ভাঙতে প্রয়োজন সমন্বিত চিন্তা।সাময়িক বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব। এবার বোট ভর্তি মাছ পেলেও ইলিশের দেখা কম। তবে এমন কর্মব্যস্ততাতেই খুশি জেলেরা।
আগামীনিউজ/প্রভাত