ঢাকাঃ একই তরুণী অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘ওই মেয়েকে টাকা দিয়ে মামলা করানো হচ্ছে। তাকে যেভাবে বলছে, সেভাবে সে কাজ করছে। মূলত আমাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং বর্তমান সময়ে আমাদের রাজনৈতিক যে উত্থান এটাকে নষ্ট করার জন্য সরকারি দল মামলা করাচ্ছে।’
আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভিপি নুরুল হক নুর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ওই মেয়েকে দিয়ে কলকাঠি নাড়ানো হচ্ছে। সে এর আগে লালবাগ থানায় অভিযোগ দিলো। আবার একই তরুণী কোতওয়ালী থানায় নতুন করে ডিজিটাল আইন ও ধর্ষণে সহোযোগীতার কথা উল্লেখ করে মামলা করলো।’
নুর বলেন, ‘আমরা যেটা জানতে পারলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি সঞ্জিত দাসের বাড়ি ময়মনসিংহে, মেয়েটির বাড়িও ময়মনসিংহে। তারা পেট্রোনাইজ করে এগুলো করাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গতকালকেও বলেছি এসব ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা নিয়ে আমরা বিচলিত নয় এবং এগুলো নিয়ে আমরা ভাবিও না। গতকাল মামলা হওয়ার পরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ করেছি। পুলিশ আমাদেরকে আটক করেছিলো কিন্তু তারা আমাদের আটক করে রাখতে পারেনি। কারণ তারা জানে যে, সত্য ও ন্যায়ের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করছি তাই আমাদেরকে আটক রাখলে তার পরিনতি ভালো হবে না৷ এ কারণে তারা ছেড়ে দিয়েছে। আমাদেরকে সাময়িক বিব্রত ও হয়রানি করার জন্য এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি মামলা গতকাল একই ব্যক্তি করেছিলো আবার সেই ব্যক্তিই আবার নতুন করে মামলা কেন করলো? এর কারণ হলো- গতকাল যে অভিযোগটি দিয়েছিল সেটি হালকা অভিযোগ ছিলো। সে কারণে তাকে দিয়ে আবার পাকাপোক্ত অভিযোগ করিয়েছে।’
উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কোতওয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন গতকালের ওই তরুনীটি। মামলায় নুরুসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- নাজমুল হাসান সোহাগ, হাসান আল মামুন, নুরুল হক নুর, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা, আবদুল্লাহ হিল বাকি। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত নাজমুল হাসান।
আগামীনিউজ/জেহিন