ত্রুটিসমাধানে পদ্মাসেতুতে যাচ্ছে রেলকর্তৃপক্ষ

ডেস্ক রিপোর্ট সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০, ০৫:২০ পিএম
ছবি সংগৃহীত

ঢাকাঃ পদ্মাসেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পে ওঠা নামার মুখে হেডরুমের উচ্চতা কম হওয়ায় সেখান দিয়ে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলাচল নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ডিজাইনের এ ত্রুটি সারাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এখন সরেজমিন পরিদর্শনে যাচ্ছেন রেল সচিব, সেতু সচিব, পদ্মা রেলসংযোগ ও মূলসেতু প্রকল্পের দুই পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আজ বা আগামী কাল শুক্রবারের মধ্যে তাদের প্রকল্প স্থানে যাবার কথা রয়েছে।

পদ্মাসেতু সূত্র জানা গেছে , সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ দুই জায়গায় হেডরুম যে উচ্চতায় দেওয়ার কথা, সেটি দেয়নি রেলওয়ে। এ অবস্থায় সেতুতে ওঠানামা করতে পারবে না বড় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানগুলো।

হরাইজন্টাল ও ভার্টিক্যাল— দুটো দিকেই কম জায়গা আছে। দেশের সড়কপথের হেডরুম স্ট্যান্ডার্ড হলো— হরাইজন্টাল ১৫ মিটার, ভার্টিক্যাল ৫ দশমিক ৭ মিটার, যা এখানে মানা হয়নি। এ অবস্থায় সেতুতে ট্রাক কাভার্ড ভ্যানও দুই তলা বাস যেতে পারবেনা। কেননা পদ্মা রেললিংক প্রকল্পে মাত্র ৪ দশমিক ৮ মিটার উচ্চতা দেওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে বুয়েটসহ সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এর একটা সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কেউ কোন কথা বলতে না চাইলেও পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পের পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন জানান, রেললাইন ডিজাইনের ক্রটির একটা সমাধান বের করতে সচিবসহ তারা সবাই পদ্মাসেতু সরেজমিন পরিদর্শনে যাচ্ছেন।

তবে রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সম্ভাব্য দিন হিসেবে রেল সচিব আজ বৃহষ্পতিবা বার কাল শুক্রবার পদ্মাসেতু এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন। দিনভর তারা পদ্মাসেতু এলাকায় প্রকল্পের কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও চীনা ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়া আর সেতু সচিব বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে ওই বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সেখানে থাকবেন । পদ্মাসেতুর দুই প্রান্তে রেললাইনের কারণে ট্রাক, ট্যাংকলরিসহ বেশি উচ্চতার যানবাহনের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে একটি সমাধান খুঁজবেন তারা।

মূল পদ্মাসেতুর ভেতরে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ কাজ করছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেতুর দুই পাড়ের রেললাইন নিয়ে, যা ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত এবং মাওয়া থেকে পদ্মাসেতু হয়ে ওই পারের জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি পদ্মা রেললিংক প্রকল্প নামে পরিচিত, যার কাজ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ। আগামী বছরের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হওয়ার কথা।

আগামীনিউজ/জেহিন